ছবি থেকে কবিতা- সংস্কৃতির অঙ্গনে স্বছন্দ গতিবিধি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিরোধী নেত্রী থাকার সময় থেকেই কখনও নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখেছেন তিনি। কখনও আবার কবিতা। বিদ্যাসাগর কলেজে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে হোক, বা বিরোধীদের পিছনে কেন্দ্রীয় এজেন্সি লেলিয়ে দেওয়ার বিরোধিতায়, বারবরই গর্জে উঠেছে মমতার কলম। এবার আসন্ন শারদ উৎসবে তৃণমূলের স্টলে দলনেত্রীর লেখা সমস্ত বই-ই রাখতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল। মমতার বিপুল রচনাসম্ভারকেই এবার জনসংযোগের হাতিয়ার করতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মোট ৮৮টি বই লিখেছেন মমতা। গত কয়েক দশক ধরে তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে ওইসব বইয়ের তুমুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। মমতার লেখা ‘সিঙ্গুর জয়ী’, ‘আন্দোলনের কথা’, ‘সোজাসাপটা’ প্রভৃতি বইগুলি অত্যন্ত জনপ্রিয়। ছোটদের নিয়েও যেমন তিনি বই লিখেছেন, তেমন লিখেছেন পরিণতমনস্কদের জন্যও। তৃণমূলের স্টল থেকে ওই সকল বই আমজনতার কাছে পৌঁছে দিতে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে দলের সমস্ত বিধায়ক ও সাংসদের চিঠি দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পরিষদীয় নেতৃত্বর তরফে দলের বিধায়কদের কাছে চিঠি দেওয়া শুরু হয়েছে। বিধায়কদের পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রীদের কাছে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে পৃথক চিঠি দেওয়া হচ্ছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনাকে অনুরোধ করা হচ্ছে যে আসন্ন দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে আপনার জেলার বিভিন্ন এলাকায় দুর্গামণ্ডপ ও মণ্ডপ চত্বর সংলগ্ন স্টলের মাধ্যমে বইগুলি জনসাধারণের কাছে তুলে ধরা এবং বিক্রির জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করবেন।’ চিঠির সঙ্গে মমতার প্রকাশিত বইগুলির একটি তালিকা সংযোজিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কালীঘাটে দলীয় বৈঠকে মমতা বলেছিলেন, এই বছর দুর্গাপুজোয় আগের তুলনায় বেশি বইয়ের স্টল দিতে হবে। বইয়ের মাধ্যমেই জনসংযোগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তাই তৃণমূল নেত্রীর সেই নির্দেশ মতোই বইকে হাতিয়ার করে শারদ উৎসবে কোমর বেঁধে জনসংযোগ করতে নামছে রাজ্যের শাসকদল।