প্রাক্তনীদের মন্তব্যে মিশন চন্দ্রযান-২ তে ইসরোর সাফল্য নিয়ে ফের উঠল প্রশ্ন। চন্দ্রযান-২-এর সাফল্য নিয়ে ইসরোর বুক বাজানো পছন্দ নয় প্রাক্তনীদের। প্রাক্তন আধিকারিকরা বলছেন, “ইসরো দিনের পর দিন সাফল্যের পরিমাণ বাড়িয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে। কদিন বাদে হয়তো বলে দেবে চন্দ্রযান-২ একশো শতাংশ সফল”।
শনিবার চাঁদের মাটিতে রাত নেমে যাওয়ায় বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগের সম্ভাবনা প্রায় শেষ। তা সত্ত্বেও শনিবার ইসরো প্রধান কে শিবন সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “আমরা বিক্রমের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে পারিনি এখনও। এই প্রকল্পটি দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল। একটি বিজ্ঞান নির্ভর, একটি প্রযুক্তি নির্ভর। আমরা প্রজেক্টের বিজ্ঞানের দিকটিতে পুরোপুরি সফল, প্রযুক্তির দিকটিতেও প্রায় পুরোপুরি সফল। তাই চন্দ্রযানের সাফল্যের হার ৯৮ শতাংশ বলা যায়”।
ইসরো প্রধানের এই দাবিকেই কটাক্ষ করছেন প্রাক্তনরা। শনিবার ভুবনেশ্বরে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে নাম জানাতে অনিচ্ছুক ইসরোর এক প্রাক্তন গবেষক বলছেন, “এক সপ্তাহে সাফল্যের হার ৯৫ থেকে বাড়িয়ে ৯৮ বলে দেওয়া হল। আর পাঁচদিন পর হয়তো বলবে চন্দ্রযান ১০০ শতাংশ সফল। আমার মনে হয় ইসরো প্রধান কী বলছেন, সেটা আরও একবার তাঁর ভেবে দেখা উচিত”।
গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং হওয়ার কথা ছিল বিক্রমের। কিন্তু, সফট ল্যান্ডিংয়ের সময় শেষ মুহূর্তে ইসরোর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বিক্রম। তাঁর সঙ্গে আর কোনওরকমভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।