আজ বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে নামছে ভারত। বিরাটের ‘সেকেন্ড হোম’-এ সিরিজ জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি আজকের ম্যাচে নিজেদের শক্তি-দুর্বলতা যাচাই করে নিতে চাইছে টিম ইন্ডিয়া।অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপের আগে পঁচিশটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পাবেন বিরাটরা। তাই ম্যানেজমেন্ট চাইছে সবাইকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখে নিতে।
সিরিজের শেষ ম্যাচে অবশ্য দলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুব একটা নেই। যদি বেঙ্গালুরুতে আসার আগে টিম ২-০ করে ফেলতে পারত, তাহলে হয়ত কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলত। কিন্তু ধরমশালায় বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় আপাতত সে’সব হচ্ছে না। মোহালিতে ভারত তিন স্পিনার নিয়ে নেমেছিল। চিন্নাস্বামীতে অবশ্য স্পিনারদের পরিসংখ্যান খুব একটা ভাল নয়।মাঠের বাউন্ডারি খুব ছোট। সেক্ষেত্রে একজন স্পিনার বসিয়ে বাড়তি পেসার খেলানোর ভাবনা থাকতে পারে। সেটা হলে হয়তো খলিল আহমেদ সুযোগ পেতে পারেন। আবার এটাও শোনা যাচ্ছে, মোহালিতে মাত্র এক ওভার বল করা ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার জায়গায় রাহুল চাহারকে খেলানো হতে পারে।
এমনিতে এই দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে খুব একটা ভাবার কারণ নেই। এবি ডে’ভিলিয়ার্স আগেই অবসর নিয়েছেন। নেই ফাফ ডু’প্লেসিও। যার ফলে প্রোটিয়াদের মিডল অর্ডার বেশ অনভিজ্ঞ। তবে ভারতের চিন্তা ঋষভ পন্থ। এই তরুণ ক্রিকেটার ফর্মের ধারেকাছে নেই। গত ম্যাচেও এমন জায়গায় ব্যাট করতে নেমেছিলেন, যেখানে বিরাটের সঙ্গে থেকে তাঁর ম্যাচ শেষ করে আসা উচিত ছিল। কিন্তু সেটা না করে উইকেট দিয়ে যান। সিরিজ শুরুর আগে থেকেই এটা নিয়ে চর্চা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, বিরাট কোহলি-রবি শাস্ত্রীরা এটা নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথাও বলেছেন। রাহুল দ্রাবিড়ও নাকি ঋষভের সঙ্গে আলাদা করে আলোচনা করেছেন। দ্রাবিড় এখন ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি (এনসিএ-র) ডিরেক্টর। শুক্রবার ভারতীয় দলের প্র্যাকটিসেও রাহুল ছিলেন। সেখানেই আলাদা করে ঋষভকে বুঝিয়েছেন বলেই খবর।
অবশ্য শুধু ঋষভ নয়, চিন্তার আরও একটা কারণও থাকছে এই ম্যাচে। রবিবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। বৃষ্টিতে ম্যাচ বাতিল হলে সিরিজ অবশ্য ভারত জিতবে। কিন্তু মনে হয় না বিরাটরা তাতে খুব একটা খুশি হবেন। কারণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির জন্য প্রত্যেকটা ম্যাচই খুব গুরুত্বপূর্ণ।
গত ম্যাচে মোহালিতে বোলাররা বেশ ভাল বল করেছেন। বিশেষ করে দীপক চাহার আর ওয়াশিংটন সুন্দর। এদিন দু’জনের প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন শিখর ধাওয়ান। তিনি বলছিলেন, “ওয়াশিংটন খুব ভাল বল করছে। ব্রেক থ্রু দিচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা হল, অসম্ভব ভাল কন্ট্রোল। ভ্যারিয়েশনও রয়েছে। আর চাহার দু’দিকেই সুইং করাতে পারে। ভাল পেস রয়েছে। এটা ওর সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট। এখন দেখার বিশ্বকাপের আগে এই তরুণ ক্রিকেটাররা কতটা নিজেদের প্রমাণ করতে পারে।