আসামে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরই বিজেপির নেতারা প্রায় হুমকির সুরেই জানান দিয়েছিল যে, এবার বাংলাতেও এনআরসি হবে। সেখানে বাদ পড়েছে ১৯ লক্ষেরও বেশি মানুষের নাম। তারপর থেকেই বিভিন্ন জল্পনা শুরু হয়েছে বাংলায়। একদিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বিজেপি বাংলায় এনআরসি হবেই বলে দাবি করছে। অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে তার তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। রাজ্যব্যাপী মিছিল ও পথসভা করেছে।
বিরোধী সিপিএম ও কংগ্রেসের সঙ্গে একসুরে বিজেপিকেও আক্রমণ করেছে। কিন্তু, এবার এনআরসি সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যবাসীর আতঙ্ক কাটাতে রাজ্য সরকার কর্মশালা করতে চলেছে তাঁরা। প্রতিটি জেলায় তৈরি করা হবে আইনি সহায়তা কেন্দ্রও। যেখানে বর্তমান নথি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি এই সংক্রান্ত বিষয়ে মানুষের প্রশ্নের উত্তরও দেওয়া হবে।
তৃণমূলের সঙ্গে যৌথভাবে এই কাজ করতে চলেছে জমিয়ত-এ-উলেমায়ে হিন্দ। তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের উদ্যোগে আগামী শনিবার মহাজাতি সদনে এই সংক্রান্ত একটি কর্মশালা হবে। তারপরই তৃণমূলের লিগাল সেলের সঙ্গে মিলে জেলাগুলিতে আইনি সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হবে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। গতকাল এই কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও জমিয়ত-এ-উলেমায়ে হিন্দের প্রধান সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি।
এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, এনআরসি ও নাগরিকত্ত্ব আইন কী? তা বোঝানোর পাশাপাশি আসামে কেন এনআরসি করা হল, তাও জানানো হবে রাজ্যবাসীকে। এই জন্য জেলায় জেলায় তৈরি করা হবে লিগাল সেল। তাঁরা আইনি সহায়তা কেন্দ্র থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের এই বিষয়ে সাহায্য করবে। প্রতিটি জেলায় কার কাছে থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে তার তালিকাও তৈরি করা হবে। আগামী শনিবার মহাজাতি সদনে এই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য একটি কর্মশালা করা হচ্ছে। তাতে একজন প্রাক্তন বিচারপতিও উপস্থিত থাকবেন। কোনও নথিতে ভুল থাকলে কী করে সংশোধন করতে হবে সেটিও ওই কর্মশালায় শেখানো হবে।