মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে বাংলার দুর্গাপুজোকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোকমিটিগুলিকে অনুদান থেকে শুরু করে দুর্গা কার্নিভাল, শারদোৎসবকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব রূপে তুলে ধরতে কোনও কসুর করেননি তিনি। প্রায় প্রতি বছরই, মহালয়ার আগে থেকেই এক-এক করে রাজ্যের বড় পুজোগুলির উদ্বোধন করতে দেখা যায় তাঁকে। গত বছরও মহালয়ার দিন তিনেক আগেই শ্রীভূমির ‘চিতোরের দূর্গ’ থেকেই উৎসব শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। এবারও তার অন্যথা হবে না। এ বছরও মহালয়ার আগে থেকেই পুজো উদ্বোধন শুরু করে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। যা চলবে প্রায় ষষ্ঠী পর্যন্ত। গত বছর ১০০-র ওপর প্রতিমা উদ্বোধন করেছিলেন তিনি। এবারও যাবেন বহু মণ্ডপে। তবে শুধু বড় ক্লাবই নয়, মাঝারি স্তরের ক্লাবেরও পুজো উদ্বোধন করবেন মমতা।
প্রসঙ্গত, ‘দিদিকে বলো’ ও ‘আমার গর্ব মমতা’– তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচীর অঙ্গ এই দুটি ফেসবুক পেজে দুর্গাপুজো নিয়ে সম্প্রতি অনেক কিছু লেখা হচ্ছে। যেমন নেতাজি ইন্ডোরে পুজোক্লাবগুলিকে নিয়ে যে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী, সেখানে তিনি প্রতিটি ক্লাবকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এ নিয়ে একটি কার্টুন করা হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘এবার কি সাদামাটা পুজো হবে নাকি? খুব কম কোম্পানি বিজ্ঞাপন দিতে চাইছে। মমতা বলছেন, ‘এবার থেকে পুজো কমিটিগুলোকে ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে।’ কার্টুনে লেখা হয়েছে, ‘দিদি আমাদের আশা, দিদি আমাদের ভরসা।’ আবার দেবী দুর্গাকে নিয়ে লেখা হয়েছে দেবী দুর্গা সৃষ্টি ও প্রকৃতির আদি কারণ, জনশ্রুতি অনুসারে খ্রিস্টীয় দ্বাদশ-ত্রয়োদশ শতাব্দীতে বাংলার দুর্গোৎসব শুরু। আজ পর্যন্ত দুর্গাপুজো বাংলার সব থেকে বড় উৎসব।