এখনো ক্ষমতায় আসেনি। আদৌ কোনোদিন বাংলায় ক্ষমতায় আসবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু লোকসভা ভোটে কিছুটা ভাল ফল করতেই গোটা বাংলা জুড়ে শুরু হয়েছে বিজেপির তান্ডব। ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর থেকেই গ্রামবাংলায় শুরু হয়েছে গেরুয়াবাহিনীর উপদ্রব। আর এবার এমনই এক অভিযোগ এল উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ি থেকে।
জানা গেছে, প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপির এক পঞ্চায়েত প্রধানকে। এই ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে ময়নাগুড়ির ধরমপুর এলাকায়। অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের নাম বিপুল দাস। সরকারি প্রকল্পে কাজ দেওয়ার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
রবিবার রাত আড়াইটে নাগাদ বিপুল দাসকে গ্রেফতার করেন খোদ জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার ও তাঁর টিম। পুলিস সুপার অভিষেক মোদী জানিয়েছেন, ধর্মপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিপুল দাসের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজ সহ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হলে বিপুল দাসের বিরুদ্ধে প্রচুর তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়। এরপরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
যদিও বিপুল দাসের আইনজীবী কল্লোল ঘোষের দাবি, তাঁর মক্কেলকে চক্রান্ত করে ফাঁঁসানো হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বরং তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে লারটি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের করে। এদিন পঞ্চায়েত অফিসের সামনেও বিক্ষোভ দেখান দু’পক্ষ। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে।