শারদোৎসব মানেই এখন ‘পুজোর রাজ্যে পৃথিবী থিমময়’। কিন্তু এই থিমের লড়াইয়ের মধ্যে পড়েও যেসব পুজোগুলি নিজেদের সাবেকিয়ানা ধরে রেখেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম মধ্য কলকাতার কলেজ স্কোয়্যারের পুজো। আজও নিজের সনাতনি ঐতিহ্য, সাবেকিয়ানা থেকে এতটুকু সরে আসেনি কলেজ স্কোয়্যার সর্বজনীন। কিন্তু হালফিলের থিমের ঝলকানিতেও সনাতনী জৌলুস এতটুকু কমেনি ৭২ বছরের এই পুজোর। থিমের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক না থাকলেও সুবিশাল মণ্ডপ, সুসজ্জিতা মাতৃপ্রতিমা এবং বিশাল ঝাড়বাতি প্রতিবছরই এখানকার প্রধান আকর্ষণ হয়ে থাকে। সেইসঙ্গে রয়েছে এখানকার জলাশয়ের ওপর আলোর খেলা। যার ফলে প্রতি বছরই পুজোর ক’দিন দর্শনার্থীদের ঢল নামে কলেজ স্কোয়্যারে। কলকাতার পাশাপাশি জেলা থেকেও কাতারে কাতারে মানুষ হাজির হন এই পুজো দেখতে।
কলেজ স্কোয়্যার দুর্গাপুজো কমিটির সম্পাদক বিকাশ মজুমদার এখন খবরকে জানান, ‘আমাদের পুজোটা সাবেকি প্রথার পুজো। এ বছর যা ৭২ বছরে পদার্পণ করল। প্রতিবারই আমাদের মন্ডপ হয় মূলত কোনও মন্দির বা বাড়ির আদলে। এ বছর হচ্ছে জয়পুরের উধম মহারাজের বাড়ি উধম ভবনের আদলে। মন্ডপ গড়ছে নদীয়ার ডেকরেটর। দিনরাত এক করে কাজ করছেন ৪০-৫০ শিল্পী। প্রতিমা গড়ছেন ভাস্কর সনাতন রুদ্র পাল।
আলোতে বরাবরই আমরা নতুন কিছু করি। এ বছর দেখাব মহাকাশ অভিযান। এছাড়া বাচ্চাদের জন্য আলোয় ফুটিয়ে তোলা হবে হাঁস, নানা রকমের পাখি। কাজ করছেন চন্দননগর এবং কলকাতার আলোকশিল্পীরা।’ জয়পুরের উধম ভবন এবং জলাশয়ের পাড় জুড়ে আলোর রোশনাই দেখতে যে এবারও দর্শনার্থীরা ভিড় জমাবে কলেজ স্কোয়্যারে, তা বলাই বাহুল্য।