গত সপ্তাহে আইএমএফ বলেছিল, ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশ যতদূর হবে ভাবা গিয়েছিল, বাস্তবে হচ্ছে তার চেয়ে কম। কার্যত আইএমএফের সঙ্গে সুর মিলিয়ে এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসও বললেন, যা ভাবা গিয়েছিল, সেইমতো অর্থনীতির বিকাশ হচ্ছে না। তাঁর মতে, সুদ কমিয়ে চাহিদা বাড়াতে হবে।
আইএমএফ বলেছিল, ভারতে কর্পোরেটদের ওপরে নানা বিধিনিষেধ চাপানো আছে। কয়েকটি ব্যাঙ্ক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানও দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই ভারতের অর্থনীতির বিকাশ বাধা পাচ্ছে। ২০১৯-২০ সালের আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে মোট জাতীয় উৎপাদনের বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র পাঁচ শতাংশ হারে। গত ছ’বছরে এত কম বিকাশ কখনও হয়নি। গত জুলাই মাসে তারা বলেছিল, ২০১৯ ও ২০২০ সালে ভারতে অর্থনীতির বিকাশ হবে আগের চেয়ে ধীর গতিতে। দু’বছর ধরেই বিকাশের হার কমবে ০.৩ শতাংশ। দেশীয় চাহিদা কম থাকায় ২০১৯ সালে জিডিপির বৃদ্ধি হবে সাত শতাংশ, ২০২০ সালে বৃদ্ধি হবে ৭.২ শতাংশ।
এর পরে আশার কথা শুনিয়ে আইএমএফ বলে, এর পরেও ভারত হবে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বিকাশশীল অর্থনীতি। তা চীনের থেকে অনেকদূর এগিয়ে থাকবে।
কিন্তু গত বৃহস্পতিবার আইএমএফের মুখপাত্র গ্যারি রাইস এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ভারতে অর্থনীতির বিকাশ সম্পর্কে নতুন কয়েকটি তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তাতে মনে হয়, সে দেশের আর্থিক বিকাশ আগে যা ভাবা গিয়েছিল, তার থেকে কম হবে। পরে একটি প্রশ্নের জবাবে গ্যারি রাইস বলেন, আইএমএফ ভারতের অর্থনীতির ওপরে নজর রাখবে। এবার সেই সুরেই অর্থনীতির খারাপ অবস্থার কথা স্বীকার করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।