গাড়ুলিয়া পুরসভায় চেয়ারম্যান বিজেপির সুনীল সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। অনাস্থা প্রস্তাব আনার বিষয়টি তিন দিন আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন তৃণমূলনেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হল।
কয়েকদিন আগেই এই পুরসভা তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছিল। তৃণমূল ভাঙিয়ে পুরসভার রাশ হাতে তুলে নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু মাস দুয়েকের মধ্যেই ফের গারুলিয়া পুরসভায় বিজেপি সংখ্যালঘু হয়ে পড়ল। বিজেপি ছেড়ে চারজন তৃণমূলে ফিরে যাওয়ায় সংকটে চেয়ারম্যান সুনীল সিং।
উত্তর ২৪ পরগনার বিজেপি পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল সিংয়ের বিরুদ্ধে সোমবার অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন তৃণমূল কংগ্রেসের ১২ জন কাউন্সিলর। মাস দুয়েক আগে তৃণমূল বিধায়ক তথা এই পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল সিং দলবল নিয়ে যোগ দেন বিজেপিতে। তৃণমূল ছেড়ে ১২ জন কাউন্সিলরও পদ্ম শিবিরে নাম লেখান তাঁর সঙ্গে। এরপরই ২১ আসনবিশিষ্ট গারুলিয়া পুরসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে তৃণমূল। সমীকরণ দাঁড়ায়, বিজেপির ১২ জন কাউন্সিলর, তৃণমূলের ৮ জন কাউন্সিলর ও ফরওয়ার্ড ব্লকের একজন কাউন্সিলর। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চেয়ারম্যানের বিজেপিতে যোগদানে পুরবোর্ডও বিজেপির হয়ে যায়।
তারপরই চিত্রে বদল ঘটতে শুরু করে। একে একে বিজেপির মোহ কাটিয়ে তৃণমূলে ঘরওয়াপসি হয় চার জন কাউন্সিলরের। এর ফলে বর্তমানে তৃণমূল শিবির এখানে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তৃণমূল ১২, বিজেপি ৮ ও ফরওয়ার্ড ব্লক ১ -এই সমীকরণ দাঁড়ায় গারুলিয়া পুরসভায়।
এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের তরফে ফের অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। তিনদিন আগে চেয়ারম্যান সুনীল সিংয়ের দাদা চন্দ্রভান সিং বিজেপিতে যোগ দেন। গত ৫ জানুয়ারি কাউন্সিলর দীপা সিং নবান্নে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। তিনি বিজেপির মোহ চুকিয়ে বিজেপিতে নাম লেখানোয় তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল। তারপরই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছিলেন শীঘ্রই তাঁরা অনাস্থা আনবেন।
এরপর সুনীল সিংয়ের দাদা তৃণমূলে ফেরায় আরও শক্তিশালী হয় তৃণমূল। তৃণমূল ও বিজেপির ব্যবধান চার হওয়ার পরই তৃণমূল অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করে। সোমবার তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জয় সিংয়ের নেতৃত্বে পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারের কাছে পেশ করা হয় অনাস্থা প্রস্তাব। সঞ্জয় সিং বলেন, বিজেপির বোর্ডে ঠিকমতে কাজ করতে পারছিলেন না কাউন্সিলররা। তাই তাঁরা দলে ফিরলেন।