বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের বিপজ্জনক ৫টি বাড়ি সোমবার থেকেই ভাঙা শুরু হয়েছিল। এরই মধ্যে আরও ২০টি বাড়ি ভাঙা হবে বলে জানাল কেএমআরসিএল। মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ওই বাড়িগুলির বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে কোনওভাবেই সেগুলি মেরামত করে বাসযোগ্য করা সম্ভব নয়। তাই ভেঙে ফেলাই একমাত্র উপায়। বাড়িগুলি ভাঙা হলে মেট্রোর কাজের ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে বলে জানানো হয়েছে কেএমআরসিএলের তরফে।
গত কয়েকদিন ধরেই মেট্রো সম্প্রসারণের জেরে ভেঙে পড়েছে বউবাজার এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি। তদন্তে নেমে বোঝা যায়, সুড়ঙ্গে জল জমে মাটির আলগা হয়েই বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এরপরই বিপর্যয়ের দায় নিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ নতুন বাড়ি তৈরি এবং আপদকালীন আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রতিও দেওয়া হয়। অবিলম্বে ফাঁকা করে দেওয়া হয় বিপজ্জনক বাড়িগুলি। সোমবার থেকেই ভাঙা শুরু হয় বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের বিপজ্জনক বাড়িগুলি। প্রথমেই বাড়িগুলির বিপজ্জনক অংশগুলি ভেঙে সরিয়ে ফেলা হয়। তারপর মূল কাঠামো ভাঙার কাজ শুরু হয়। ওই সময় তালিকা অনুযায়ী সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৫টি বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করে কেএমআরসিএলের নিজস্ব সংস্থা।
মেট্রো সূত্রে খবর, এখনও বাড়ি ভাঙার বিষয়ে সম্মতি দেননি বাড়ির মালিকরা। তবে এবিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ২০টি বাড়ির বাসিন্দাদেরই নতুন বাড়ি দেওয়া হবে। বাড়িগুলি নির্মাণ চলাকালীন মেট্রোর তরফেই ভাড়া বাড়িতে রাখার ব্যবস্থা করা হবে বাসিন্দাদের। সেই টাকাও দেবে কেএমআরসিএল। জানানো হয়েছে, পুনরায় যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে তাই অবিলম্বেই শুরু করা হবে বাড়ি ভাঙার কাজ।