ড্রোনের হামলায় শনিবার ভোরে আরামকোরের দু’টি তৈল শোধনাগারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে যায়। একটি শোধনাগার থেকে গুলির আওয়াজও শোনা গিয়েছে। তবে হতাহতের সংখ্যা জানা যায়নি। কিছুদিন আগেই রিলায়েন্সের কেমিক্যাল ও রিফাইনারি ব্যবসার ২০ শতাংশ কিনে নিয়েছিল সৌদি আরবের আরামকো সংস্থা।
তৈল শোধনাগারে ড্রোন হামলার প্রভাব পড়তে পারে সারা বিশ্বে। কারণ ইরান থেকে তেল আমদানির ওপরে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা থাকায় সারা বিশ্ব এখন সৌদি আরবের তেলের ওপরে অনেকাংশে নির্ভরশীল। সেখানে তেল সরবরাহ বিঘ্নিত হলে বিশ্ব জুড়ে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে পারে বলে পর্যবেক্ষকদের আশঙ্কা। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। সৌদি আরব দীর্ঘকাল ধরে প্রতিবেশী ইয়েমেনে হাউথিস বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। তাঁরা ড্রোন হানা চালিয়ে থাকতে পারে বলে অনেকের ধারণা।
সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় ভোর চারটে নাগাদ আরামকোর আবকোয়াইক ও খুরাইস শোধনাগারে ড্রোন হামলা হয়। কারা আক্রমণ করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানায়নি। ২০১৫ সাল থেকে সৌদি সেনা হাউথিদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। গত মাসে হাউথিরা আরামকোর শায়েবা প্রাকৃতিক গ্যাস লিকুইফ্যাকশন সেন্টারে হামলা চালায়। কিন্তু তাতে কেউ মারা যায়নি।
পূর্বে, ২০০৬ সালে জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা একবার সেখানে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল। পরে জঙ্গিরা স্বীকার করে, তারা তৈল শোধনাগারে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য আত্মঘাতী জঙ্গি পাঠিয়েছিল। কিন্তু সে সফল হয়নি।