বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শত ব্যস্ততার মধ্যেও সব দিকে খেয়াল রাখেন। তাই পুজোয় যখন উমা ফিরছেন তার বাবা-মা’র ঘরে তখন মমতার উদ্যোগে পূর্ব বর্ধমানে প্রায় ৫৬ হাজার গরিব মানুষ পেলেন মাথার ওপর স্থায়ী ছাদ।
নবান্ন সূত্রে খবর, যাঁদের নিজেদের মাথা গোঁজার ঠাই নেই, তাঁদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেবে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবের আগেই জেলার ২৩ টি ব্লক মিলিয়ে ৫৬ হাজার ৮৩০ টি বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে জেলা পরিষদের সহ–সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে এই বাড়িগুলি তৈরি করার জন্য ৬৮১ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে।’
গরিব মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই পাওয়ার ব্যাপারে যাতে কোনওরকম বেনিয়ম না হয়, সে ব্যাপারে গত ২৬ আগস্ট বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে সতর্ক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তালিকায় কোনওরকম গরমিল রয়েছে কিনা তা যাচাই করার কথা বলা হয়েছে বিডিও–দের। প্রথম কিস্তির টাকা অনেকের অ্যাকাউন্টে ঢুকে গেছে। কোনও অনিয়ম যাতে না হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসনিক কর্তা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি, সকলেই সতর্ক। আর পুজোর মুখে নিজেদের বাড়ি পাওয়ার খবরে খুশি জেলার হতদরিদ্র বাসিন্দারা।
সব থেকে বেশি বাড়ি তৈরি হবে ভাতার ব্লকে, ৫০৩৪টি। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি বাড়ির জন্য মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। প্রথম কিস্তিতে দেওয়া হয় ৪৫ হাজার টাকা। দ্বিতীয় দফায় আরও ৪৫ হাজার। শেষ দফায় বাকি ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এক একটি বাড়ির জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছে ২৭০ বর্গফুট। বাড়ি তৈরির জন্য উপভোক্তাদের কাছ থেকে যাতে কেউ কোনও টাকাপয়সা নিতে না পারে, তারজন্য পর্যাপ্ত নজরদারির বন্দোবস্ত হয়েছে। অভিযোগ উঠলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা।