দক্ষিণ কলকাতার যে পুজোগুলো দেখতে প্রতিবছরই মানুষের ভিড় উপচে পড়ে, তাদের মধ্যে অন্যতম বাবুবাগান সর্বজনীনের পুজো। গতবার সাধারণ মানুষের সঙ্গে বাঙালির নিজস্ব বাদ্যযন্ত্রের পরিচয় করাতে টেরাকোটার মাধ্যমে ‘বাংলার মাটিতে সুরের মূর্ছনা’ তুলেছিল তারা। আর এবার ৫৮ তম বর্ষে তাদের থিম ‘শান্তিরূপেন সংস্থিতা’। বাজেট আনুমানিক ৩০-৩২ লাখ টাকা। প্রতিমা শিল্পী বাপি দাস। এবং গোটা ভাবনা ও রূপায়নের দায়িত্বে রয়েছেন অধ্যাপিকা সুজাতা গুপ্ত। যিনি নিজেও পুজো কমিটির সদস্য।
বাবুবাগান সর্বজনীনের সম্পাদক সরোজ ভৌমিক বলেন, ‘আমাদের এ বছরের থিম শান্তিরূপেন সংস্থিতা। এক কথায় সবার কাছে শান্তির এক বার্তা পৌঁছে দেওয়া। তবে তা শুধু কলকাতায় নয়, গোটা বিশ্বেই। বাংলার অতি প্রাচীন শিল্প পটচিত্রের মাধ্যমে এই থিমটি উপস্থাপনা করা হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা নয়াগ্রামের শিল্পীরা এই কাজ করছেন।’ তিনি জানান, পটচিত্র ব্যবহার করে যেমন গ্রাম বাংলার এই শিল্পকে তুলে ধরতে চাওয়া হয়েছে। তেমনি শান্তি এবং পরিবেশে সব কিছুর ভারসাম্য রক্ষার বার্তাও দেওয়া হচ্ছে।
দুর্গাপুজোর ঐতিহ্য নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজোকে বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব হিসাবে তুলে ধরেছেন। এবং দেশ-বিদেশে তার কথা ছড়িয়ে দিতে চাইছেন। গত কয়েক বছর ধরে পুজোর পরে রেড রোডে যে কার্নিভাল হয়, তা দুর্গাপুজোকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। পুরষ্কারপ্রাপ্তির কথা বলতে গিয়ে সরোজবাবুর স্বীকারোক্তি, বাবুবাগান সার্বজনীন বিগত ক’বছর বহু পুরষ্কারই পেয়েছে। পর পর দু’বছর এশিয়ান পেইন্টস শারদ সম্মান যেমন জিতেছেন তাঁরা। তেমনি পেয়েছেন বিশ্ব বাংলা-সহ আরও বিভিন্ন পুরষ্কার। তবে সব থেকে বড় পুরস্কার লাখ লাখ মানুষের ভাল লাগাই।