বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে মোদী সরকারের বাজেটে যেমন তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি, তেমন চাহিদার মানোন্নয়নেও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি কেন্দ্র। এই দুই কারণেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ভারতের শিল্প সংস্থাগুলোকে। গাড়ি শিল্প থেকে বিস্কুট- সর্বত্রই বাজারে চাহিদা বাড়ন্ত। বিক্রি না হওয়ায় বন্ধ করতে হচ্ছে উৎপাদন। বস্ত্র এবং নির্মাণ শিল্পের অবস্থাও তথৈবচ।
আর এ সবের ফলেই চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি নেমে গেছে ৫ শতাংশে। যা গত ছ’বছরে সবচেয়ে কম। কিন্তু এত কিছুর পরেও দেশের অর্থনীতির হাল নিয়ে অস্বস্তি কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না মোদী সরকারের। ঘরোয়া বাজারে বেড়েই চলেছে জিনিসপত্রের দাম। গত অক্টোবরে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.২১ শতাংশ, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবথেকে বেশি। জুলাইয়ের জিনিসপত্রের মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৩.১৫ শতাংশ।
সাম্প্রতিকতম সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ৬ বছরের মধ্যে তলানিতে নেমেছে জিডিপি। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে জিডিপির হার ৫ শতাংশের নীচে ছিল। যা নিয়ে সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। নোটবাতিল, জিএসটি চালু প্রভৃতি ক্ষেত্রে সরকারের ভ্রান্ত নীতির কারণে দেশের অর্থনীতি ঝিমিয়ে পড়ছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এর মধ্যেই সামনে এল জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির ছবি। এটি বিরোধীদের হাতে সরকার বিরোধিতার নতুন অস্ত্র তুলে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।