আইপিএল চলাকালীনই অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি বোর্ডের এথিক্স কমিটির তরফ থেকে তলব করাও হয়েছিল সৌরভ, সচিন, লক্ষণের মত প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটারদের। আর এদিনই বিসিসিআইয়ের এথিক্স অফিসার ডিকে জৈন নির্দেশ দিয়েছেন একের বেশি পদে থাকতে পারবেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
তবে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ থেকে প্রাক্তন জাতীয় অধিনায়ককে ‘বেনিফিট অফ ডাউট’ দিয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট সৌরভ। তাঁর সঙ্গে আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গেও যুক্ত তিনি। তিনি সেই ফ্র্যাঞ্চাইজির মেন্টর। আবার বোর্ডের ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটিতেও ছিলেন তিনি। এই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ ওঠে।
সংবাদসংস্থার খবর অনুসারে বোর্ডকে পাঠানো ইমেলে এথিক্স অফিসার লিখেছেন, ‘ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটিতে সৌরভের উপস্থিতি স্বার্থের সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি করছে। এই অভিযোগে সৌরভের জবাব অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পদত্যাগ হিসেবে গণ্য করা যায়। আর ২০১৯ সালের মে মাসেই আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ হয়েছে সৌরভের। এই পরিস্থিতিতে স্বার্থের সংঘাতের ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা নিয়ন্ত্রণযোগ্য।’
তবে সৌরভকে সতর্কও করে দিয়েছেন এথিক্স অফিসার। ইমেলে লিখেছেন, ‘আইন না জানা কোনও অজুহাত হতে পারে না। বোর্ডের ৩৮(২) ধারা অনুসারে সৌরভের এগুলো জানানো উচিত ছিল। কিন্তু ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে আইন কার্যকর হয়েছে ধরে নিলে সৌরভকে ‘বেনিফিট অফ ডাউট’ দেওয়াই যায়। সৌরভ হয়তো বুঝতে পারেননি যে এই তিনটি পদে থাকা স্বার্থের সংঘাতের মধ্যে পড়ছে। আমি তাই বোর্ডকে নির্দেশ দিচ্ছি, তাঁরা যাতে স্বার্থের সংঘাত ঘটবে এমন বিষয়গুলি থেকে সৌরভের সরে আসা নিশ্চিত করে।