যৌন হেনস্থা এবং পরে ধর্ষণের অভিযোগ আনার পর দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও, যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এখনও পর্যন্ত বিজেপির সেই প্রবীণ নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এই চাপান উতোরের মধ্যে বিজেপির ওই প্রবীণ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কী কী তথ্য হাতে এসেছে, তা জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত।
চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গড়িমসিতে তিতিবিরক্ত হয়ে, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান মহিলা আইনজীবীদের একটি সংগঠন। তার পরেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। কয়েক দিন আগে চিন্ময়ানন্দকে ডেকে পাঠান তাঁরা। শারীরিক অসুস্থতার দোহাই দিয়ে প্রথমে হাজির হতে রাজি না হলেও, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাহজাহানপুর পুলিশ লাইনে সিট-এর তদন্তকারীদের সামনে হাজির হন তিনি। সেখানে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট থেকে রাত ১টা পর্যন্ত তাঁকে জেরা করা হয়। ওই তরুণীর অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে।
শুধু তাই নয়, শাহজাহানপুরে যে ‘মুমুক্ষু’ আশ্রমে চিন্ময়ানন্দ তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই তরুণী, সেখানকার দু’টি ঘরেও তালা ঝুলিয়ে দেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আশ্রমের ভিতরে চিন্ময়ানন্দের আবাস ‘দিব্য ধাম’-এ তাঁর শোওয়ার ঘরও বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুক্রবার ফরেন্সিক টিম নিয়ে গিয়ে ফের এক দফা সেখানে তল্লাশি চালানোর কথা তদন্তকারীদের।
টানা একবছর ধরে চিন্ময়ানন্দ তাঁকে ধর্ষণ এবং ব্ল্যাকমেল করেছেন বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণী। তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন তিনি। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লী পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বয়ান দিয়েছেন তিনি। প্রমাণ হিসাবে গোপনে তোলা চিন্ময়ানন্দের একটি ভিডিও রেকর্ডিংও তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছেন।