এই প্রথমবার পুজো-উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে শহরজুড়ে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য বন দফতর৷ মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে শারদোৎসবের মাঝেই বৃক্ষরোপণ উৎসব করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শুধু গাছ লাগানোই নয়, বছরভর তার পরিচর্যার দায়িত্বও নিতে হবে সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটিগুলিকে। দুর্গাপুজো কমিটিগুলির কাছে চিঠি পাঠাচ্ছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
কিছুদিন আগে পরিবেশ বাঁচাতে, সবুজ রক্ষার কাজে মানুষকে উৎসাহিত করতে বিড়লা তারামণ্ডল থেকে রবীন্দ্র সরোবর পর্যন্ত দীর্ঘ পদযাত্রা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইদিনই মুখ্যমন্ত্রী বৃক্ষরোপণের কাজে পুজো উদ্যোক্তাদের সামিল করানোর জন্য প্রথম প্রস্তাব দেন।
মুখ্যমন্ত্রী সেদিনের পদযাত্রায় বলেছিলেন, “পুজো কমিটিগুলি তো অনেক ধরনের সামাজিক কাজকর্ম করে। তার সঙ্গে তারা যদি এলাকায় গাছ লাগায় এবং তার দেখভাল করার দায়িত্ব নেন, তা হলে তাঁদের দেখে অন্যরা উৎসাহী হবেন। সচেতনতা বাড়বে”। মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রস্তাব মেনেই বন দফতর এই উদ্যোগ নিয়েছে।
যে সব পুজো কমিটি এই উদ্যোগে সামিল হবেন, তাঁদের গাছের চারা দেবে বন দফতর। এ জন্য চিঠিতে নির্দিষ্ট ফোন নম্বরও দেওয়া হচ্ছে। বনমন্ত্রীর বক্তব্য, চিঠি পেয়ে ইতিমধ্যেই অনেক পুজো কমিটি যোগাযোগ করেছে। সবুজ রক্ষার ব্যাপারে পুজো উদ্যোক্তাদের এই আগ্রহ যথেষ্ট উৎসাহব্যাঞ্জক বলে মনে করছেন বনমন্ত্রী।