ক্রমশ বেড়ে চলেছে পাকিস্তানি সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার। এই অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পাঞ্জাবের খান্না থেকে ভারত সরকারের কাছে সপরিবার রাজনৈতিক শরণের আবেদন করলেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ বা পিটিআই–এর প্রাক্তন এমএলএ বলদেব কুমার সিং। যার ফলে পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর বেড়ে চলা অত্যাচার এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার ছবি আরও প্রকট হল। গত এক মাস ধরে দুই সন্তান এবং স্ত্রীর সঙ্গে খান্নায় শ্বশুরবাড়িতে আছেন বলদেব। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে রাজনৈতিক শরণের আবেদন করেন তিনি।
শিখ সম্প্রদায়ের ৪৩ বছরের এই নেতা খাইবার পাখতুনখোয়ার বারিকোটের এমএলএ ছিলেন। সংখ্যালঘুদের উপর পাকিস্তান সরকারের অত্যাচারের অভিযোগ উঠছে দীর্ঘ দিন ধরেই। মঙ্গলবার বলদেব বললেন, ‘শুধু সংখ্যালঘুরাই নয়, মুসলিমরাও ওখানে নিরাপদ নয়। আমরা পাকিস্তানে খুব সমস্যার মধ্যে বেঁচে আছি। আমি ভারতে সজ্ঞানে এসেছি। আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজনৈতিক শরণ আর আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাইছি।’
বলদেব জানালেন তাঁর ভাইরা এবং তাঁদের অন্য পরিজনরা এখনও পাকিস্তানেই আছেন। তাঁদের জন্য উদ্বেগপ্রকাশ করে কেন্দ্রের কাছে বলদেবের দাবি, ‘বহু হিন্দু এবং শিখ পরিবার ভারতে চলে আসতে চাইছে। ওখানে সংখ্যালঘুদের জন্য কোনও সম্মান নেই। গুরুদ্বারগুলি খারাপ দশায় আছে। জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হচ্ছে। সম্প্রতি এক শিখ যুবতীর এরকম ঘটনা সামনেও এসেছে। ভারত সরকারের উচিত একটা প্যাকেজ ঘোষণা করা যাতে পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দু এবং শিখরা এখানে চলে আসতে পারে। ওনারা ওখানে অত্যাচারিত হচ্ছেন। ওনাদের জন্য কিছু করা উচিত।’
২০১৬ সালে তাঁর কেন্দ্রের এক বিধায়ক খুন হন। সেই হত্যার দায়ে জেলে যেতে হয় বলদেবকে। ২০১৮–য় তাংকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। বলদেব বললেন, ‘পাকিস্তানে সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তা অনুভব করছে না কারণ তাঁরা অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নিগ্রহ এবং হত্যা ভীষণভাবে বেড়ে গিয়েছে। আমাকেও দুবছর জেলে থাকতে হয়েছে।’ তবে শুধু তাঁকেই নয়, বলদেবের অভিযোগ, বহু সংখ্যালঘু মানুষকেই এভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে রেখেছে ইসলামাবাদ।