দুশ্চিন্তার অবসান ঘটেছে। শনিবারের তুলনায় অনেকটাই ভাল আছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন আগের থেকে অনেকটাই স্থিতিশীল। যে কারণে তিন দিনের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল তাঁকে। সোমবার বিকেল তিনটে নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয় বুদ্ধবাবুকে। অত্যাধুনিক অ্যাম্বুল্যান্সে মিনিট পনেরোর মধ্যেই তিনি পৌঁছে যান তাঁর পাম অ্যাভেনিউয়ের ফ্ল্যাটে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আগের থেকে অনেকটাই ভাল আছেন বুদ্ধবাবু।
এদিন সকাল ১১টা নাগাদ ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়েছে, বাইপ্যাপ নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ভাল ঘুম হচ্ছে। তাঁর রক্তচাপ এবং হার্ট রেট একেবারেই স্বাভাবিক। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণও স্বাভাবিক মাত্রায় রয়েছে বলেই জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। শুধু তাই নয়। নিউমোনাইটিসের জেরে তাঁর যে অবস্থা হয়েছিল, তারও অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। তবে আরও কয়েক দিন আইভি ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে তাঁকে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে। একই সঙ্গে চলবে অক্সিজেন, নেবুলাইজেশন এবং চেস্ট ফিজিওথেরাপি।
এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এ দিনই ছেড়ে দেওয়া হবে বুদ্ধবাবুকে। সেই মতো দুপুরের পর থেকেই হাসপাতাল চত্বরে তৎপরতা চোখে পড়তে শুরু করে। তিনটে নাগাদ অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হয় বুদ্ধবাবুকে। সঙ্গে চিকিৎসক এবং নার্স। চিকিৎসকেরা জানান, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই মুহূর্তে যে চিকিৎসার প্রয়োজন তা বাড়িতে রেখেই করা হবে। উল্লেখ্য, শনিবার থেকেই একটু একটু করে সুস্থ হতে শুরু করেন বুদ্ধবাবু। আর তার পর থেকেই তিনি বার বার বাড়ি যেতে চাইছিলেন।
দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ বুদ্ধবাবু। গত বৃহস্পতিবার থেকে তা বাড়তে শুরু করে। শুক্রবার পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়। শুরু হয় প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট। এরপরই তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ফুয়াদ হালিমের পরামর্শে পার্কস্ট্রিট সংলগ্ন এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। রাখা নয় বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশনে। অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াও দফায় দফায় তাঁকে ৩ ইউনিট রক্তও দেওয়া হয়। যার পরই তাঁর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে। স্থিতিশীল হয় রক্তচাপ। বুদ্ধবাবুর চিকিত্সায় ৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।