আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বউবাজারের। সোমবার সকালে বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হওয়ার আগেই ফের আরেকটি চারতলা বাড়ি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল স্যাঁকরা পাড়া লেনে। ঘটনায় যদিও হতাহতের খবর মেলেনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। চলছে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ।
কেএমআরসিএলের তরফে জানানো হয়েছিল দুর্গা পিতুরি লেনের বাসিন্দারা ছাড়পত্র দিয়েছেন, সোমবার থেকে শুরু হবে এলাকার বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে ফেলার কাজ। এ দিন সেইমতোই আনা হয় ম্যান পাওয়ার মেশিন। দুর্গা পিতুরি লেনে যখন বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে ঠিক তখনই স্যাকরা পাড়া লেন সাক্ষী হল আরও এক বিপর্যয়ের।
বাড়ির মালিক ভবানী সেন জানিয়েছে, বাড়ি থেকে কোনও জিনিসই নিতে পারেননি তাঁরা। ২০১৪ সালে মৃত্যু হয় তাঁর স্বামীর। এরপর ছেলেকে নিয়ে ওই বাড়িতেই থাকতেন ভবানী সেন। একমাত্র সহায় সম্বল বাড়িটি ভেঙে পড়ায় কার্যত মাথায় বাজ পড়েছে তাঁর। ২০২০-তে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে ভবানী সেনের ছেলে অথচ বইপত্র কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, গত সপ্তাহে ১০ মিনিটের জন্য বাড়িতে ঢোকার অনুমতি মিললেও বাড়ির অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গীন হওয়ার কারণে এদিন বাড়িতে ঢোকা সম্ভব হয়নি কারও পক্ষেই। কাজেই বাড়ি ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হয়েছে শেষ সম্বলটুকুই। সবমিলিয়ে এখন স্বপ্নভঙ্গের আর্তনাদ বউবাজার জুড়ে। ভবিষ্যত কী জানা নেই কারও। কার্যত অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে আশ্রয়হীনদের।