বল বিকৃতি কাণ্ডে নির্বাসনে ছিলেন ১ বছর। ফিরে আসার পর বিশ্বকাপের মত বড় মঞ্চে নেমেছিলেন। খুব একটা সুবিধে করে উঠতে পারেননি। তবে অ্যাসেজ সিরিজ যেন তাঁর পুনর্জন্ম। যেন তাঁর জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। তবে নির্বাসিত হওয়া আরও এক ক্রিকেটার এই সিরিজে যেন বড্ড ম্যাড়ম্যাড়ে। নিস্তেজ। এই দুই অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারের কাছে চলতি অ্যাশেজ একেবারে দুই ভিন্ন মেরুর অভিজ্ঞতা নিয়ে হাজির হয়েছে। প্রথম জন স্টিভ স্মিথ। যিনি একাই তিনটি সেঞ্চুরি-সহ এ বারের অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের মুখ হয়ে উঠেছেন। দ্বিতীয় জন, ডেভিড ওয়ার্নার। যিনি সম্ভবত ক্রিকেট জীবনের সব চেয়ে খারাপ একটা সিরিজ খেলছেন।
শনিবারও যে দুই দৃশ্যের কোনও ব্যতিক্রম হল না। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস ৩০১ রানে শেষ করে দেওয়ার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে পড়ল অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ৪৪ রানের মধ্যে চার উইকেট পড়ে যায় তাদের। অস্ট্রেলীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিরে যান ডেভিড ওয়ার্নার। ছয় বল খেলে তিনি শূন্য রান করেন। সিরিজে ষষ্ঠ বার তাঁকে আউট করেন স্টুয়ার্ট ব্রড। তখনই ফের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন সেই স্টিভ স্মিথ। এদিন ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দ্বিতীয় ইনিংসে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হল না তাঁর। আউট হলেন ৮২ রান করে।
এই নিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টানা ন’টি ইনিংসে পঞ্চাশের উপরে রান করলেন স্মিথ। যা অ্যাশেজের ইতিহাসে এর আগে কখনো হয়নি। চলতি সিরিজে ৬৭১ রান হয়ে গেল স্মিথের, গড় ১৩৪। স্মিথের দাপটে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় উইকেটে ১৮৬ রান তুলে ডিক্লেয়ার দিয়ে দেয়। যার ফলে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়াল ৩৮৩। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খেল জো রুটের দল। দিনের শেষে তাদের স্কোর ১৮-২।