আজ সকালে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে সদ্যোজাতদের চিকিৎসার বিভাগ মাতৃমা বিল্ডিংয়ে আগুন লেগে সৃষ্টি হল আতঙ্কের। চিকিৎসাধীন ছোট শিশুদের বাঁচাতে কার্যত হুড়োহুড়ি শুরু হয়। সমস্ত লোক রাস্তায় নেমে আসে। পরে শিশুদের পাশের বিল্ডিংয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ২ টি ইঞ্জিন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, অধিকাংশ মা ও শিশুদের সুস্থভাবেই নিচে নামানো সম্ভব হয়েছে।
সূত্রের খবর, আজ সকাল ৯.২০মিনিট নাগাদ আচমকাই হাসপাতাল ভবনের তিনতলা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। তখনই রোগী ও তাঁর আত্মীয়দের মধ্যে শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি। হাসপাতাল কর্মীরাই প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। আতঙ্কে অনেক রোগী নিজেই নেমে আসেন। খবর পেয়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। জেলাশাসক কৌশিক সাহা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও আতঙ্কগ্রস্থ রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে দ্রুত। দমকল এসে দ্রুত কাজ শুরু করে।
উদ্ধার কাজ শুরু করে প্রথমেই শিশু ও মায়েদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে থাকেন হাসপাতাল কর্মী ও দমকলকর্মীরা। তবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রোগীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি। অন্যান্য বিভাগের রোগীরাও দ্রুত বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। এরফলে হাসপাতাল চত্বরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন এখন আগুন নেভানোর কাজ করছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই মা ও শিশুদের আলাদা দুটি ঘরে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। তবে এদিনের অগ্নিকাণ্ডে হুড়মুড়িয়ে নামতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকজন প্রসূতি। খোঁজ মিলছে না কয়েকটি শিশুরও। প্রাথমিকভাবে দমকলকর্মীদের অনুমান শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড। যদিও আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না এলে অগ্নিকাণ্ডের আসল কারণ বলা সম্ভব নয় বলেই জানান তাঁরা।