সৈকতের পর্যটনকে পুঁজি করে কর্পোরেট দুনিয়াকেও কাছে টানতে বদ্ধপরিকর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্যই ৩৫০ কোটি টাকা খরচে মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনাতেই এখানে তৈরি হয়েছে কনভেনশন সেন্টার। সবুজে ঘেরা ৫ একর জমির ওপর অবস্থিত এই অত্যাধুনিক ‘দীঘাশ্রী’ বাংলা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের ব্যবসা বাণিজ্য সংক্রান্ত কনফারেন্স থেকে শুরু করে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।
৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি এই কনভেনশন সেন্টারে আছে হাজার আসনবিশিষ্ট বাতানুকূল অডিটরিয়াম। রয়েছে ৩০০ আসনের কনফারেন্স রুমও। সঙ্গে আছে উন্নত মানের ফুড কর্ণার, মাল্টি ফেসিলিটি রেস্তরাঁ এবং গাড়ি পার্কিং ও টেলি যোগাযোগেরও উন্নত ব্যবস্থাও। এছাড়াও ভিআইপি লাউঞ্জ, সুইমিং পুলের পাশাপাশি এখানে রয়েছে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ৫৬টি গেস্ট রুম। যার মধ্যে ৫১টি টুইন বেডরুম ছাড়াও ১৪টি স্যুট রয়েছে। সঙ্গে থাকছে, ককটেল স্পা ব্লক, চিলড্রেন পার্ক, জিম, ব্যাঙ্কোয়েট হল, সেমিনার হল, ফোর স্টার হোটেল, ঝাঁ চকচকে শৌচালয়। যেখানে ২৪ ঘণ্টা পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থাও এখানে আছে। প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বণিক মহলও এখানে সভা করতে পারবে।
এই কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলা আজ ছাগলের তৃতীয় ছানার মতো কিছু না করে, কিছু না পেয়ে লাফালাফি করে না। কারণ বাংলায় আজ সব আছে। তৈরি হচ্ছে বাংলা ধীরে ধীরে। এখন বাংলাকে দেখে কেউ আর নাক কুঁচকোতে পারবে না’।