রেল বোর্ডের সদস্য পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২০১৬ সালের মে মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে। তিনি সরাসরি টাকা না নিলেও তাঁর হয়ে এই টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার প্রভাবশালী বিজেপি নেতা বাবান ঘোষের হাতে। গ্রেফতারির পর যিনি ইতিমধ্যেই কবুল করেছেন ঘটনার সত্যতার কথা।
প্রসঙ্গত, সরশুনা থানায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা সন্তু গাঙ্গুলি। তাঁর অভিযোগ, রেলের স্থায়ী কমিটির সদস্য পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য দফায় দফায় ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন মুকুল। তাঁর কথা মতোই সেই টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে বিজেপি জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি তথা টলিউডে চালু হওয়া বিজেপি সংগঠনের সভাপতি বাবান ঘোষের হাতে।
অভিযোগকারী এ-ও জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২০১৬ সালের মে মাসের মধ্যে এই ৪০ লক্ষ টাকা ধাপে ওই ধাপে নেওয়া হয়েছিল। তবে পরবর্তী ক্ষেত্রে যখন তিনি বুঝতে পারেন পুরোটাই প্রতারণা, তখনই তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। অন্যদিকে, এ হেন অভিযোগ পাওয়ার পরই মঙ্গলবার রাত দেড়টায় কার্যত ঘুম থেকে তুলে আনা হয় শকুন্তলা পার্কের বাসিন্দা বাবান ঘোষকে।
রাতভর জেরার পর সকাল সাড়ে ৯ টার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ এই নেতা টাকা নেওয়ার কথা কবুল করেছেন বলে পুলিশের দাবি। জানা গেছে, সন্তু গাঙ্গুলির দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে বাবানকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি একই ধারায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধেও চার্জ গঠন করা হবে।