নিজের ওপর থেকে আজীবন নির্বাসনের শাস্তি ওঠানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে চলেছেন শান্তাকুমারন শ্রীসন্থ। এ বার সেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে চলেছেন ভারতের এই পেসার।
আইপিএলে ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে শ্রীসন্থকে আজীবন নির্বাসনে পাঠিয়েছিল ভারতীয় বোর্ড। যে শাস্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন শ্রীসন্থ। মঙ্গলবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অম্বাডসমান, ডি কে জৈন তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, শ্রীসন্থের আজীবন নির্বাসনের শাস্তি কমিয়ে সাত বছর করে দেওয়া হল। যার অর্থ, আগামী বছরের অগস্টে নির্বাসন শেষ হচ্ছে শ্রীসন্তের।
২০১৩ সালে আইপিএলে ম্যাচ গড়াপেটায় নাম জড়িয়েছিল শ্রীসন্থ সহ আরও তিন ক্রিকেটারের। তারপর দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর আদালতে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেছিলেন শ্রীসন্থ। কিন্তু বিসিসিআই তাঁকে খেলার অনুমতি দেয়নি। ফলে এতদিন ২২ গজের বাইরেই থাকতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু এবার শ্রীশান্তের ভাগ্যের চাকা ঘুরল। শ্রীসন্থেরর আজীবন ক্রিকেট থেকে নির্বাসনের শাস্তি কমিয়ে সাত বছর করে দিয়েছেন ডিকে জৈন।
জৈনের কথায়, ‘শ্রীসন্থ, যিনি এখন তিরিশের শেষের দিকে, ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর সেরা সময় পার করে এসেছেন। বিশেষ করে এই সময় এক জন ফাস্টবোলারের ক্রিকেটজীবন শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। আমার মতে, শ্রীসন্থের শাস্তির মেয়াদ হচ্ছে ৭ বছর। যা শুরু হয়েছিল ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ সাল থেকে। শাস্তি শেষ হলে শ্রীসন্থ সব ধরনের ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন এবং বোর্ডের কোনও ক্রিকেটীয় ক্রিয়াকলাপেও অংশ নিতে পারবেন।’ সে ক্ষেত্রে ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শাস্তির মেয়াদ থাকবে। এরপর চাইলে ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন তিনি।
রায়ের কথা শোনার পরে কোচিতে সাংবাদিকদের শ্রীসন্থ বলেন, ‘‘ভারতীয় বোর্ডের অম্বাডসমানের সিদ্ধান্ত জানার পরে অত্যন্ত খুশি হয়েছি।’’ শ্রীসন্থ এখনও আশাবাদী, তিনি ভারতের হয়ে ফের টেস্ট খেলতে পারবেন এবং আরও ১৩টি উইকেট নিয়ে একশোর মাইলফলকে পৌঁছতে পারবেন। তার সঙ্গেই রঞ্জি ট্রফিতে কেরল দলের হয়েও খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তিনি।