কাশ্মীর মিলিয়ে দিল সিপিএম-তৃণমূলকে।কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ভূস্বর্গে আটক বা গৃহবন্দী রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে ধর্নায় একসঙ্গেই সামিল হতে চলেছে বাংলার যুযুধান এই দুই প্রতিপক্ষ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিল্লীর যন্তর মন্তরে হবে এই ধর্না-অবস্থান। উদ্যোক্তা ডিএমকে।
ধর্নায় অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ স্বীকার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সীতারাম ইয়েচুরি। তবে রাজ্যে প্রশাসনিক কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা নিজে দিল্লী যাচ্ছেন না। তাঁর নির্দেশে ধর্নায় প্রতিনিধিত্ব করবেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। ইয়েচুরি অবশ্য নিজেই থাকবেন। প্রতিনিধি পাঠাবে কংগ্রেসও।
মমতার নির্দেশে দীনেশ যেমন ধর্নায় যাচ্ছেন, তেমনই সংসদের কমিটি বা অন্য কাজে দিল্লীতে থাকা তৃণমূল নেতাদেরও কাল অবস্থান-মঞ্চে ঘুরে আসতে বলা হয়েছে। দীনেশ বলছেন, ‘তিন-তিন জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আটকে রাখা হয়েছে। তাঁরা কোথায় কী ভাবে আছেন, তা-ও জানানো হয়নি! এই পরিস্থিতি গণতন্ত্রে চলতে পারে?’
এম করুণানিধির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মমতার সাম্প্রতিক চেন্নাই সফরের সময়েই কথা হয়েছিল, অ-বিজেপি দলগুলির মধ্যে এখন সেতুবন্ধনে উদ্যোগী হবে ডিএমকে। চেন্নাইয়ের পরে এ বার দিল্লীতে জাতীয় স্তরে সেই চেষ্টারই প্রথম ফসল ফলতে চলেছে যন্তর মন্তরে। ডিএমকে সভাপতি এম কে স্ট্যালিনের বক্তব্য, ‘কাশ্মীরে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকে অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশে। তাঁদের মুক্তির দাবিতে দিল্লীতে প্রতিবাদ-অবস্থানে আমরা সমমনোভাবাপন্ন দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি’। তাঁর সংযোজন, ‘কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের গোটা পদক্ষেপেরই তাঁরা বিরোধী’।