শুরুর দিন থেকেই ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচী ‘দিদিকে বলো’। বাংলার মানুষ তাঁদের নিজেদের সমস্যার কথা অকপটে বলছেন মমতাকে। এক ফোনেই হচ্ছে সমস্যার সমাধান। এবার দিদিকে বলো নম্বরে ফোন করতেই সহজেই হাসপাতালে ভর্তি হলেন এক টিবি রুগী।
হাওড়ায় জগন্নাথবাবুর প্রতিবেশী একজন টিবি রোগী বেশ কিছুদিন ধরেই ভুগছিলেন, হাসপাতালে ভর্তি হতে পারছিলেন না। ‘দিদিকে বলো’–তে ফোন করতেই হয়ে গেল সমাধান। হাওড়ার হাসপাতালের বেড থেকেই চন্দ্রনাথ বলেন, ভাগ্যিস দিদিকে ফোন করেছিলাম। প্রথমে শুনেই মুখ্যমন্ত্রী অবিলম্বে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।
‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে। বিধায়কদের ফের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, আবার ৫ জন বিশিষ্টর সঙ্গে দেখা করতে হবে। তাঁদের বাড়ি যেতে হবে। কোনও একজন কর্মীর বাড়িতে খেতে হবে। রাতে থাকতে হবে। এও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নির্দিষ্ট এলাকায় সভা ডাকতে হবে। শ্যামপুকুরের বিধায়ক শশী পাঁজা মঙ্গলবার সন্ধেয় নিজের এলাকায় কমিউনিটি হলে সভা করেছেন। লোকজন জোগাড় করা বিধায়কের দায়িত্ব।
অভিনব প্রচার করলেন পূর্ব বারুইপুরের বিধায়ক নির্মল মণ্ডল। তাঁর এলাকায় সুনাম আছে। কাজের মানুষ। খেতে নেমে নির্মলবাবু চাষ করতে নামেন। তাঁকে দেখা গেল লাঙল টানতে। তাঁর বক্তব্য, ‘দিদিকে বলো’ এই কর্মসূচী চারিদিকে সাড়া ফেলেছে। এভাবে আমরা যদি প্রচার চালাতে পারি, দল অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।’ ২ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। এর মধ্যে কতজন বিধায়ক কর্মীর বাড়িতে খেয়েছেন ও রাত্রিবাস করেছেন তা দলের পক্ষ থেকে বাড়ির মালিকের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে।