গত কয়েকদিনে কলকাতা ভেসে গিয়েছিল ঘূর্ণাবর্তের জেরে। সমানে চলেছে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি। সেই বজ্রপাতের কবলে পড়ে প্রাণ হারান সুবীর পাল। ভিক্টোরিয়ায় সপরিবারে বেড়াতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় দমদম বিবেকানন্দপল্লীর বাসিন্দা। বাড়ির একমাত্র উপার্জনকারীর আকস্মিক মৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা। বাবা যে আর নেই, স্বাভাবিকভাবে তা উপলব্ধি করতে পারছে না আড়াই বছরের মেয়ে সম্বি। এ সময় এই পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ালেন দমদমের বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ঘটনার পর থেকেই তিনি এই পরিবারকে আগলে রেখেছেন। সম্বির যাতে পড়াশোনায় কোনও অসুবিধা না হয়, মন্ত্রী তার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
দক্ষিণ দমদমে পুরসভার সিআইসি–র সদস্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মন্ত্রী শুধু সুবীর পালের মেয়ের পড়াশোনার দিকই দেখছেন তা নয়, ওই পরিবারকে বাঁচাতে সুবীরের স্ত্রীর জন্য একটা চাকরির বিষয়টিও চিন্তাভাবনা করছেন। তিনি সুবীরের স্ত্রী সঙ্গীতার চাকরির ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানালেন দেবাশিসবাবু।
প্রসঙ্গত সেই দিন কলকাতায় প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হতে থাকে। ভিক্টোরিয়ার দক্ষিণ গেটের কাছে আচমকা একটি বাজ পড়ে সুবীরের প্রাণ কেড়ে নেয়। সব কিছুই হয় স্ত্রী ও সন্তানের চোখের সামনে। সেই পরিবারকেই সামলে রেখেছেন ব্রাত্য বসু।