‘কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত বিধিভঙ্গ করলে যুদ্ধ হবে’ – ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ায় এবং রাজ্যের বিভাজন করায় মোদী সরকারকে এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এখানেই থেমে না থেকে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ ও তাকে দু’ভাগ করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদকে চিঠি দিয়েছিল ইমরানের পাকিস্তান। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দেয় চীনও।
জানা গেছে, আগস্ট মাসের জন্য পরিষদের সভাপতিত্বকারী দেশ পোল্যান্ডকে চিঠি দিয়ে চীন জানিয়েছে, এই বিষয়ে তাঁরা গোপন বৈঠক চায়। আর রাষ্ট্রপু্ঞ্জের তরফে পিটিআই-কে জানানো হয়েছে, ভারত-পাক সম্পর্কের গতিবিধি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠক চায় চীন। বেজিংয়ের আবেদনপত্রে পাকিস্তানের চিঠিটিরও উল্লেখ রয়েছে। তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের কূটনীতিবিদ জানাচ্ছেন, এখনই এই বৈঠকের দিনক্ষণ বলা সম্ভব নয়। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ও অস্থায়ী অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, রাষ্টপুঞ্জে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আবেদন জানিয়ে খুব সুবিধে পায়নি পাকিস্তান। তারপর বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি চিঠি দেন নিরাপত্তা পরিষদে। নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি তথা পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত জোয়ানা রোনেকাকে রাষ্ট্রপুঞ্জে স্থায়ী পাক প্রতিনিধি মালেহা লোদী মারফত এই চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে রীতিমতো হুমকির সুরে বলা হয়, ‘আমরা কোনও দ্বন্দ্ব চাই না। কিন্তু ভারত যেন আমাদের সংযমকে দুর্বলতা না ভাবে।’
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই কুরেশি চীনের সমর্থন আদায়ে বেজিং সফরে যান। তিনি দাবি করেন, চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই পাকিস্তানের পক্ষে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। আবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও চীন সফরে গিয়ে পালটা ওয়ায় ই-কে বলেন, এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। পাকিস্তানের বাস্তবটা বোঝা উচিত। চীনের তরফে এরপর কোনও বিবৃতি দেওয়া না হলেও নিরাপত্তা পরিষদে তাদের গোপন বৈঠকের দাবি থেকেই একটা বিষয় পরিষ্কার, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের দাবিদাওয়াগুলিকে একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছে না তারা। নতুন করে সামনে আসছে তাদের ইসলামাবাদ প্রীতিই।