ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি, এমন অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। এবার বাঙালির গর্ব দুর্গাপুজোকে নিশানা করেছে বিজেপি, এমনটাই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে কলকাতার একাধিক দুর্গাপুজো কমিটিকে আয়কর দফতর নোটিশ পাঠিয়েছিল, যা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদে সরব হন মমতা।
আর এবার দুর্গাপুজোর একাধিক কমিটি ফের একবার আয়কর দফতরের নোটিশ পাওয়ার পর ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। আজ ১৩ই আগস্ট সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে হিন্দ সিনেমার বিপরীতে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘বঙ্গ জননী’ শাখা ধর্নায় বসবে বলে আগেই ঘোষণা করেন মু্খ্যমন্ত্রী। সেইমতোই আজ সকালে হিন্দ সিনেমার বিপরীতে মঞ্চ করে আয়কর হানার বিরুদ্ধে ধর্নার বসে তৃণমূলের ‘বঙ্গ জননী’।
এদিনের ধর্নায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অনেকে। ‘বঙ্গ জননী’ ধর্নায় উপস্থিত ছিলেন শহরের মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। এই ধর্না মঞ্চ থেকে কাকলি ঘোষ দস্তিদার বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সব ধর্ম নির্বিশেষে দুর্গাপুজোতে অংশগ্রহণ করেন। উৎসবের কথা মাথায় রাখা হবে না ট্যাক্স। বিজেপির বাংলার সংস্কৃতির ওপর এই আঘাত কখনই মেনে নেওয়া যায় না। দুর্গাপুজো হবে, কমিটিগুলো যে যার মতো কাজ করবে।’
ধর্নায় যোগ দিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বাংলার দুর্গাপুজো আমাদের কাছে সংস্কৃতি। বাংলা এখন অর্থনীতিতে এক নম্বরে তাই এবার দুর্গাপুজো আরও বড় হবে। কারণ এই দুর্গাপুজোতে হাজারো মানুষ সামিল হন। সুতরাং, বাংলার পুজোকে বন্ধ করে দেওয়ার প্রয়াস বিজেপির ব্যর্থ হবে।’
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলার বিজেপি নেতারা এসে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন যে, এখানে দুর্গাপুজো হয় না। নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ প্রায় প্রত্যেক বিজেপি নেতাই এই অভিযোগ তোলেন। সেইসময় এর তীব্র প্রতিবাদ করতে দেখা যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। আর তারপরেই শহরের বেশ কিছু দুর্গাপুজো কমিটিকে নোটিশ পাঠানোর ঘটনায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বাংলার ‘অগ্নিকন্যা’।