ইদের নমাজের পরেই কাশ্মীরের সৌরায় প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন কাশ্মিরের সাধারণ মানুষ। সংবাদসংস্থা রয়টার্স, বিবিসি এবং আলজাজিরার প্রকাশ করেছিল এই খবরে। কিন্তু প্রথমে অস্বীকার করলেও অবশেষে মঙ্গলবার এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
জানা গেছে, ইদের নমাজ শেষ হতেই সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে উত্তেজিত মারমুখী জনতার পাথর ছোঁড়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ রাস্তার দখল নেয় বিক্ষুব্ধ জনতা৷ অভিযোগ পাকিস্তানের পতাকা ও আইসিসের পতাকা প্রদর্শন করে তারা৷ শুধু তাই নয়, চলে সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া৷ এছাড়াও বড় বড় লাঠি নিয়ে হামলা চালানো হয় নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়ি লক্ষ্য করে৷
সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রকাশিত ভিডিওতে-ও দেখা যাচ্ছে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সেনার গাড়ি এলেও, গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চলছে৷ চলছে লাঠি দিয়ে হামলা, পাথর ছোঁড়া৷ বুধবার সকালে ইদের নমাজ পড়ার জন্য স্থানীয় মসজিদে জড়ো হন অনেকেই৷ নমাজের পরেই নিরাপত্তারক্ষী ও নমাজে উপস্থিত মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়৷
এই খবর এবং ভিডিও প্রকাশ করে বিবিসি, আলজাজিরা এবং রয়টার্স। এর পরেই আসরে নামে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রক। তারা জানায়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের মধ্যে চারটি ভিডিয়ো এবং সাতটি খবর-রিপোর্ট ভুয়ো। কিন্তু চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই অবস্থান পাল্টে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।