এবার দলবদলের রাজনীতিকে বিঁধে কবিতা লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘দমকা হাওয়া’ শিরোনামে একটি কবিতা পোস্ট করেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানেই উঠে এল বঙ্গ রাজনীতির ‘দলবদলুদের’ হালহকিকত।
লোকসভা ভোটের পরেই উঠেছিল এক দমকা হাওয়া। নেতা-নেত্রীদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গেছিল। কিন্তু মাস ঘুরতে না ঘুরতেই ভাঁটা পড়েছে তাতে। পদ্ম শিবিরের প্রতি মোহ ভঙ্গ হয়েছে সেইসব নেতা-নেত্রীদের। আবার নিজেদের দলে ফিরছেন তাঁরা। ৩৫ চরণের কবিতায় সেই রাজনীতির ছবি এঁকে সুবিধাবাদী ও সুবিধেভোগীদের চিহ্নিত করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বর্তমান রাজ্যে বিজেপির তোলা হাওয়াকে তিনি ‘দমকা হাওয়া’ বলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর সঙ্গে তিনি দলবদলের হিড়িককেও ব্যঙ্গ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘দমকা হাওয়া এল- যাদের হৃদয় বড়ো দুর্বল, তারা দমকা হাওয়ার শুরুতে গড়িয়ে পড়ল রাস্তায়।’ এই ‘দমকা হাওয়া’ স্থায়ী নয়। হটাৎই থেমে যাবে। তখন এই হওয়ায় ভাসা মানুষদের তিনি বলেছেন, ‘ফুস! হাওয়া তো থেমেই গেলো। একটু না দেখেই এতো হুড়োহুড়ি।’ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘প্রয়োজন? ছিল কি?’ তিনি এই দলবদল করা মানুষদের ‘ধৈর্য’ ও ‘অধৈর্য’র পার্থক্য বোঝাতে চেয়েছেন। তিনি হাওয়ায় ভাসা মানুষদের ‘মুখোশ’ নিয়েও কটাক্ষ করেছেন। এই ‘দমকা হাওয়া’র মোহে মোহিত মানুষদেরকে বাস্তব দেখিয়েছেন। তাদের জানিয়েছেন যে এই ‘দমকা হাওয়া’ চলে গেছে তবে যাওয়ার আগে ‘চিনিয়ে’ দিয়ে গেছে।
আর এই ‘দমকা হাওয়া’র জন্যই ‘মুখোশ’ পড়া মানুষদের চিনতে পারা গেল বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি তাই এই ‘দমকা হাওয়া’কে বারবার আহ্বান করছেন এই ‘মুখোশ’ পড়া মানুষদের চিনিয়ে দেওয়ার জন্য। ‘কারা ঠিক আর কারা বেঠিক’।
বরাবরই প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে কবিতাকে বেছে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতে তুলে নিয়েছেন কলম। এর আগে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে লিখেছিলেন ‘লজ্জিত’ নামের কবিতা। বিজেপির সাম্প্রদায়িকতাকে বিঁধে ‘মানি না’ শিরোনামে কবিতাও এসেছিল তাঁর কলমে। এইবার দলবদলের রাজনীতিকে বিঁধে লিখলেন ‘দমকা হাওয়া’ কবিতা।