৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর এক সপ্তাহ কেটে গেছে। মনে করা হয়েছিল, এর ফলে কাশ্মীরের সার্বিক উন্নতি হবে। কিন্তু হয়েছে ঠিক তার উল্টো। বলা হচ্ছে, এই ধারা উঠে যাওয়ার ফলে ভেঙে পড়েছে কাশ্মীরের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। এমনকি গত এক সপ্তাহে ১০০০ কোটি টাকা লোকসানের মুখ দেখেছে জম্মু–কাশ্মীরের ব্যবসায়ী গোষ্ঠী। কাশ্মীর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক সদস্য জানিয়েছেন, ‘যাতায়াত, টেলিফোন, ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়েছে আমাদের। প্রত্যেকদিন গড়ে ১৭৫ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে আমরা জানি না।’
করণনগর এলাকার এক বেকারি ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ‘সরকারি বিধিনিষেধের কারণে বেকারি ও পশু ব্যবসায়ীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখ দেখেছেন। কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ তো রাস্তায় বেরোতেই পারছেন না। জিনিস কিনবেন কী করে? বিগত কয়েকদিনে আমারই ক্ষতি হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকার কাছাকাছি। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করেছিলাম আমি। আমার যা ক্ষতি হল, তা কতদিনে পূরণ করতে পারব জানি না।’
বাসির আহমেদ নামে এক পশু ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ‘আমি পুঞ্চ এলাকার বাসিন্দা। অনেক আশায় কিছু ছাগল আর ভেড়া নিয়ে কাশ্মীরে এসেছিলাম। ইদের সময় ভালো বিক্রি হয় এখানে। গত বছরও এসেছিলাম। কিন্তু এবছর কোনও বিক্রিই হয়নি।’ মহম্মদ ইয়াসিন নামে এক জামাকাপর বিক্রেতা জানিয়েছেন, ‘এবছর যা পরিস্থিতি, তাতে কেউ ঈদ পালন করবে বলে মনে হয়না।’
আর এর ফলে চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের এবং ব্যবসায়ীদের। তাঁরা জানে না, আদৌ কবে এই পরিস্থিতি ঠিক হবে। আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা ভূস্বর্গ।