জঙ্গি হামলা হওয়ার এত ঘন্টা পরেও আতঙ্ক কাটছে না ভূস্বর্গে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনাবাহিনী। তারপরও টানটান পরিস্থিতি উপত্যকায়। এরমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে একসুরে আক্রমণ করল রাজ্যের বিরোধীরা। মেহবুবা মুফতির পাশাপাশি আজ আক্রমণ করেছে কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স।
শুক্রবার আক্রমণ করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎয়ের পর সুর চড়ালেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। সাংবাদিক বৈঠকে ওমর আবদুল্লা জানান, “রাজ্যপাল আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, সেনা মোতায়নের সঙ্গে ৩৭০ ধারা বা ৩৫এ ধারার কোনও সম্পর্ক নেই। তবে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে রাজ্যপালই শেষ কথা বলেন না। ভারত সরকার শেষ সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা সংসদে এই বিষয়ে কেন্দ্রের বিবৃতি চাই।”
আবদুল্লার সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক জানিয়েছেন, উপত্যকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন নিছকই রুটিন বিষয়। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়ও রয়েছে। এর পিছনে অন্য কারণ নেই। রাজ্যপাল মালিক আজ জানিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমি আলোচনা করেছি। জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে যে গুজব রটছে, তেমন কোনও কথা তাঁরা আমায় বলেনি।”
এদিকে, কংগ্রেসের তরফে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, পি চিদম্বরম, করণ সিং এবং অম্বিকা সোনির মতো সিনিয়র নেতারা সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘কাশ্মীরে এমন পরিস্থিতি আগে কখনও দেখা যায়নি।’ গোটা বিষয়ে সংসদের দুই কক্ষেই প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছে কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, আজ জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তার কারণে অমরনাথ যাত্রা স্থগিত রাখা হয়েছে। ফেরানো হচ্ছে তীর্থযাত্রীদের।