নরেন্দ্র মোদী সরকার যতই প্রচার করুক ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’, কিন্তু বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডে তার কোনও প্রভাবই পড়েনি। আর সেটার প্রমাণ পাওয়া গেল উত্তরকাশীর এক ঘটনায়। উত্তরাখণ্ডের এই জেলার ১৩২টি গ্রামে গত তিনমাসে কোনও কন্যাসন্তান জন্মায়নি। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে। সব পরিবারেই জন্মেছে পুত্রসন্তান। আর এই পরিসংখ্যান দেখে চক্ষু চড়কগাছ সরকারি আধিকারিকদেরও। তাঁদের সন্দেহ, আসন্ন সন্তান পুত্র না কন্যা সেটা জেনেছে অনেক পরিবারই। আর সেই সন্তান কন্যা হলে গর্ভস্থ অবস্থাতেই তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত তিন মাসে উত্তরকাশীর ১৩২টি গ্রামে মোট ২১৬টি শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। কিন্তু তঁদের প্রত্যেকই পুত্রসন্তান। এই প্রসঙ্গে উত্তরকাশীর জেলাশাসক আশিস চৌহান বলেছেন, ‘শিশু জন্মগ্রহণের ক্ষেত্রে কী কারণে নারী-পুরুষের অনুপাতে এমন বৈষম্য দেখা দিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর জন্য বিস্তারিত সমীক্ষা ও গবেষণা প্রয়োজন।’ এমনকি বৈঠক করে ওই অঞ্চলের স্থানীয় ‘আশা’ কর্মীদের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। সেই অনুযায়ী একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া তদন্তে কোনও পরিবারের দোষ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত গঙ্গোত্রী অঞ্চলের বিধায়ক রাম গোপাল রাওয়াতও।
জানা গিয়েছে, গত তিন মাসে ডুন্ডা ব্লকে ৫১টি, ভাটওয়ারি ব্লকে ৪৯টি, নওগাম ব্লকে ৪৭টি, মোরি ব্লকে ২৯টি, চিনয়ালিসাউর ব্লকে ২৩টি এবং পুরোলা ব্লকে ১৭টি শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। তার মধ্যে প্রত্যেকেই পুত্রসন্তান। একজনও কন্যাসন্তান নেই। এভাবেই হয়ত হবে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’।