যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে উৎক্ষেপণ স্থগিত রাখা হল ইসরোর চন্দ্রযান ২-এর। তাই উৎক্ষেপণের ঠিক ৫৬ মিনিট আগে ইসরোর তরফে মিশন স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করা হয়। ভারতীয় সময়ে রবিবার রাত ২.৫১ মিনিটে প্রথমবার চাঁদের অন্ধকার দিকে ‘বাহুবলী’ রকেট- জিএসএলভি এমকে থ্রি পাঠানোর কথা ছিল। পৃথিবীর মহাকাশ গবেষণায় মাইলফলক হত এটা। তবে আপাতত স্থগিত এই মিশন।
উৎক্ষেপণের আগে ইসরো কর্তারা জানিয়েছিলেন, বাহুবালীর উড়ান নিয়ে কোনও চিন্তা নেই। আবহাওয়া ভাল। তবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ নিয়েই চিন্তা বেশি। পাশাপাশি ইসরোর প্রধান জানান, “অভিযান বাতিল হলে পরে তা উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে তবে তার জন্য জটিল প্রযুক্তিগত পদ্ধতি পার হতে হবে। এর জন্য লেগে যেতে পারে এক সপ্তাহ বা এক মাস”।
রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয় কাউন্টডাউন। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন কেন্দ্রে ছিল সাজসাজ রব। কথা ছিল, টানা ১৬ মিনিট উড়ানের পর চন্দ্রযান-২-কে মহাকাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে দেবে বাহুবলী। সেখান থেকে প্রায় ২ মাস ধরে চাঁদের পথে এগোতে থাকবে চন্দ্রযান-২। দুই মাসের যাত্রা শেষে ৬ সেপ্টেম্বর রোভার প্রজ্ঞান-কে নিয়ে চাঁদের মাটিতে সফ্ট ল্যান্ডিং করবে ল্যান্ডার বিক্রম। কিন্তু একেবারে শেষ সময় অভিযান বাতিল করে দিতে হয়। এনিয়ে ইসরোর তরফে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।