ফের একবার নিজেদের অজ্ঞতা প্রমাণ করলো বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে কত কৃষক এখন আত্মহত্যা করছেন, তার কোনও পরিসংখ্যান কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নেই৷ আগের থেকে আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েছে না কমেছে, পাওয়া যায়নি সেই হিসেবও।
সংসদে তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর জানিয়েছেন, “এই হিসাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো রাখে৷ তারাই বিভিন্ন রাজ্য থেকে সংখ্যা সংগ্রহ করে ভারতের ‘দুর্ঘটনা ও আত্মহত্যায় মৃত্যু’ শিরোনামে এই সংখ্যা প্রকাশ করে৷ এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ২০১৫ সালে।” যদিও এর পরের বছর এনসিআরবি রিপোর্ট প্রকাশ হলেও, তাতে এটি নেই।
দেশের কৃষকরা এখনও আত্মহত্যা করছেন কি না, তার তথ্য কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক দিতে পারছে না৷ এই অবস্থায় এই বিতর্কে কেন্দ্রকে ফের বিঁধতে পারে বিরোধীরা। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে কৃষক আত্মহত্যার যে তালিকা তিনি দিয়েছেন, তাতে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে একজন কৃষকও আত্মহত্যা করেননি৷ লোকসভাতেও মঙ্গলবার এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে দাবি করেছিলেন, “মহারাষ্ট্রে এখনও প্রতিদিন ৮ জন করে কৃষক আত্মহত্যা করছেন৷ এটা রাজ্য সরকারের রিপোর্ট৷ মহারাষ্ট্র সরকারের ইকনমিক সার্ভেতে এই কথা লেখা রয়েছে৷”
কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ আত্মহত্যার হিসাব না রাখা নিয়ে প্রশ্ন করলে কৃষি প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজ্যগুলির সঙ্গে সমস্যা থাকায় এনসিআরবির রিপোর্ট ২০১৫-র পর থেকে প্রকাশিত হয়নি৷ যার ফলে ফের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণ পেয়েছে। লোকসভা ভোটের প্রচারে কৃষক আত্মহত্যা ছিল বিরোধীদের বড় হাতিয়ার। এখন দেখার এ নিয়ে সংসদ সরগরম হয় কি না।