রাহুল গান্ধীর ইস্তফার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েই এবার ইস্তফা দিতে চাইলেন একাধিক কংগ্রেস নেতা। প্রথমে দলের হিউম্যান রাইটস সেলের চেয়ারম্যান পদ ছাড়েন সাংসদ বিবেক তাংখা। এরপর থেকেই পদত্যাগের হিড়িক পড়ে যায়। রাহুল গান্ধী যাতে নিজের মত টিম সাজাতে পারেন, তাঁকে সেই সুযোগ দেওয়ার জন্যই ইস্তফা দিচ্ছেন এই নেতারা।
লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পরই দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এই ঘটনার পর থেকেই দলের ভেতর নতুন করে চাড়া দিয়ে ওঠে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব। কংগ্রেসের নবীন নেতারা রাহুলকেই চেয়েছিলেন দলের সভাপতি হিসেবে। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের বিষয়ে কার্যত অনড় রাহুল গান্ধী। বুধবার সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে দলের সংসদীয় দলের বৈঠকে ফের একবার একথা জানিয়েছেন তিনি।
মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি দীপক বাবারিয়া এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “আজ দলের তরুণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। দলের নেতৃত্বে সামনের সারিতে যারা রয়েছেন, প্রত্যেকের হারের দায় স্বীকার করে ইস্তফা দেওয়া উচিত”। রাহুল গান্ধী নিজেও সপ্তাহের শুরুতে এক বৈঠকে এমনই বলেছেন বলে জানালেন তিনি।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সচিব অনিল কুমার চৌধুরী, রাজেশ ধারমানি, বীরেন্দ্র সিং রাঠোর, দিল্লির কার্যনির্বাহী সভাপতি রাজেশ লিলোথিয়া, তেলেঙ্গানার পোন্নাম প্রভাকর, হরিয়ানা মহিলা কংগ্রেস সভাপতি সুমিত্রা চৌহান, মহিলা কংগ্রেস সাধারণ সচিব নেত্তা ডিসুজারা গণইস্তফা দেবেন। বৈঠকের আয়োজকরা জানিয়েছেন ১২০ জন কংগ্রেস নেতা পদত্যাগ করেছেন। এদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন দলের সমস্ত পদাধিকারী তিন দিনের মধ্যে পদত্যাগ করবেন, তা না হলে তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি গিয়ে পদত্যাগ করতে বলা হবে। এরা মনে করছেন রাহুল গান্ধী বিকল্পহীন।