আজ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কঠিন ম্যাচ ইংল্যান্ডের। যেখানে হারলে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের রাস্তা কিছুটা কঠিন হয়ে যাবে অইন মর্গ্যানের দলের। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো তুলনামূলক কমজোর দলের বিরুদ্ধে হেরেছে। অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি এখনও ভারত ও নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের ম্যাচ বাকি। মঙ্গলবার লর্ডসে অ্যারন ফিঞ্চদের তাই হারাতে মরিয়া ইংল্যান্ড।
বিশ্বকাপ জয়ের দুই জোরাল দাবিদার হিসেবে টুর্নামেন্টে দৌড় শুরু করেছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। অজিরা গত বারের চ্যাম্পিয়ন। খেতাবরক্ষার লক্ষ্যে যথেষ্ট ভালো ভাবেই এগোচ্ছে অ্যারন ফিনচের দল। এখনও পর্যন্ত ছয় ম্যাচ খেলে পাঁচটিতেই জিতেছে তারা। হেরেছে কেবলমাত্র ভারতের কাছে একটি ম্যাচে। মঙ্গলবার জিতলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবলের শীর্ষে পৌঁছে যাবে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে হট ফেভারিট ইংল্যান্ড ছয় ম্যাচে জিতেছে চারটি ও হেরেছে দুটিতে। আট পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইংল্যান্ড। রাউন্ড রবিন লিগে শেষ তিন ম্যাচ তাদের খেলতে হবে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এই তিন দলের বিপক্ষে ১৯৯২ সালের পর বিশ্বকাপে আর জয়ের মুখই দেখেনি ইংল্যান্ড। ফলে ঘরের মাঠে প্রত্যাশা, পরিস্থিতি ও পরিসংখ্যানের প্রবল চাপ মাথায় নিয়ে বাকি তিনটি ম্যাচে মাঠে নামতে হবে ইংরেজ বাহিনীকে।
জেসন রয় চোট পাওয়ায় ইংল্যান্ড আগের মতো ঝড়ের গতিতে শুরু করতে পারছে না। ফলে নিচের দিকে জস বাটলারের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। বাটলারকে এখনও পরিচিত ছন্দে পাওয়া যায়নি। ইংল্যান্ডের বোলিং খারাপ না হলেও ভয়ঙ্কর মনে হচ্ছে না। ব্যাটসম্যানরা বড় রান করে দিচ্ছে বলে ওদের সমস্যা হচ্ছে না। যে দুটো ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারতে হয়েছে সেই দুটোতেই ওরা রান তাড়া করেছে। এটা ওদের আরেকটা চিন্তার বিষয়।
অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম শক্তি তাদের বাঁ-হাতি পেসার মিচেল স্টার্ক। চলতি প্রতিযোগিতায় ছয় ম্যাচে ইতিমধ্যেই ১৫টি উইকেট নিয়ে ফেলেছেন। যদিও অনেকেরই মত, নিজের সেরা ফর্মে নেই স্টার্ক। যদিও তাঁর নামের পাশে উইকেটসংখ্যা সেই ইঙ্গিত করছে না। এই মিচেল স্টার্ককে সামলাতেই সম্ভবত সোমবার ইংল্যান্ডের অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন তেন্ডুলকর। না সচিন নন। অর্জুন।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৯৮ রানের পুঁজি গড়ে ১৩ রানে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। যদিও ওই ম্যাচে ইংল্যান্ডের সেরা খেলোয়াড়দের অনেকেই খেলেননি। তবে পূর্ণ শক্তির দল নিয়েও এই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে ইংল্যান্ড। চলতি আসরে শুধুমাত্র দুই অজি পেসার মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স মিলে নিয়েছেন ২৬টি উইকেট। শুরুতে ব্রেক থ্রু দেওয়া, মিডল ওভারে প্রতিপক্ষের রান আটকে তাদের চাপে ফেলা এবং স্লগ ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ম্যাচ বের করে নেওয়া- এই স্ট্র্যাটেজিতেই সাফল্য পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং কোচ গ্রিফিথ বলেন, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও একই পরিকল্পনাই থাকবে আমাদের।’