পাকিস্তানের কাছে আজকের ম্যাচ হেরে চলতি বিশ্বকাপের শেষ চারের দরজা কার্যত বন্ধ হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে৷ পাকিস্তানের সম্ভাবনাও অত্যন্ত উজ্জ্বল না হলেও তবে খাতায়-কলমে সম্ভাবনা জিইয়ে আছে। তবে আগামী ম্যাচগুলিতে জয় ছাড়া গতি নেই সরফরাজদের৷ সেই শেষ চারের লক্ষ্যেই হয়তো আজকের ম্যাচ থেকে যাত্রা শুরু করলো সরফরাজ বাহিনী। এডিম লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৯ রানে হারিয়ে শেষ চারের লড়াইয়ে ভেসে রইল তাঁরা৷
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান তোলে৷ অনবদ্য হাফসেঞ্চুরি করেন হ্যারিস সোহেল ও বাবর আজম৷ ওপেনিং জুটিতে পাকিস্তান ৮১ রান তোলে৷ দুই ওপেনারই ব্যক্তিগত ৪৪ রানে আউট হন৷ দু’জনকেই সাজঘরের পথ দেখান ইমরান তাহির৷ মহম্মদ হাফিজ ২০ রান করে মার্করামের শিকার হন৷ হ্যারিস সোহেলের সঙ্গে জুটি বেঁধে বাবর আজম চতুর্থ উইকেটে ৮১ রান যোগ করেন৷ শেষে ৮০ বলে ৬৯ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে সাজঘরের পথে হাঁটা লাগান বাবর৷
ইমদ ওয়াসিম ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৫ বলে ২৩ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন৷ তাঁকে আউট করেন এনগিদি৷ পরের ওভারে বল করতে এসে শুরুতেই ওয়াহাব রিয়াজকেও (৪) ফিরিয়ে দেন এনগিডি৷ দলকে তিনশো রানের গণ্ডি পার করিয়ে ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হন হ্যারিস সোহেল৷ প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৫৯ বলে ৮৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি৷ সরফরাজ ২ ও শাদব খান ১ রান করে অপরাজিত থাকেন৷
এনগিডি ৯ ওভারে ৬৪ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন৷ ইমরান তাহির দখল করেন ৪১ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট৷ একটি করে উইকেট নিয়েছেন মার্করাম ও ফেলুকাওয়ো৷ রাবাডা ও মরিস কোনও উইকেট পাননি৷
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি৷ ব্যাট হাতে একা লড়াই চালান প্রোটিয়া দলনায়ক ডুপ্লেসি৷ ডি কক, ভ্যান ডার দাসেন, ডেভিড মিলাররা ছোট ছোট অবদান রাখলেও দলকে জয় এনে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না তাঁদের প্রয়াস৷ শাদব খান, ওয়াহাব রিয়াজ ও মহম্মদ আমেরের মিলিত আক্রমণেই বিধ্বস্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ৷ এদিন হারের পর শেষ চারে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল ইমরান তাহির- ডু প্লেসিদের সামনে।