দিন কয়েক আগেই ইভিএমের দিকে আঙুল তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘ভোটের আগে থেকেই বিজেপি বলছিল ২৩টা আসনে জিতবে। প্রোগ্রামিং না করলে কীভাবে আগে থেকে বলতে পারে! আবার ভোটে যে সব ইভিএম খারাপ হয়েছিল, সেগুলি পাল্টানো হয়েছিল। কিন্তু সেগুলিতে মক পোল করে ঠিকঠাক চেক করা হয়েছিল কি না, তা জানা নেই। ওইগুলিতেও আগে থেকে প্রোগ্রামিং করে রাখা থাকতে পারে।’ এবার মমতার আশঙ্কাকেই একপ্রকার সত্যি করে ফের বিতর্কে ইভিএম। মধ্যপ্রদেশের বেশ কয়েকটি জেলার সেফ রুম থেকে ইভিএমের গুরুত্বপূর্ণ দু’টি অংশ— ব্যালট ইউনিট এবং ডিট্যাচেবল মেমরি মডিউল উধাও হয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি তথ্যের অধিকার আইনে (আরটিআই) এমনই তথ্য সামনে এসেছে। এই ইভিএমগুলি সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে ব্যবহৃত হয়েছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গেছে, ইভিএমের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনগুলির থেকে পাওয়া রিপোর্ট সম্পর্কে জানতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আরটিআই করেছিলেন অজয় দুবে নামে এক ব্যক্তি। সেই আরটিআইয়ের ভিত্তিতেই গোটা বিষয়টি সামনে আসে। চলতি বছরের এপ্রিল ও জুন মাসে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়। আরও জানা গেছে, উমারিয়ার সেফ রুমে তদন্ত করে দেখা যায়, ন’টি ডিট্যাচেবল মেমরি মডিউলের কোনও হদিশ মেলেনি। যদিও কী কারণে ওই ন’টি ডিট্যাচেবল মেমরি মডিউলের হদিশ মেলেনি, সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
মাস্টার স্টক রেজিস্টার অনুযায়ী, নরসিংহপুর জেলার পলিটেকনিক কলেজের স্ট্রংরুমে ২ হাজার ৭০৯টি ডিট্যাচেবল মেমরি মডিউল থাকার কথা ছিল। কিন্তু পরিদর্শনের সময় ২ হাজার ৫০৮টি ডিট্যাচেবল মেমরি মডিউলের হদিশ মেলেনি। স্টোররুমে ২০১টি ডিট্যাচেবল মেমরি মডিউল মেলে। আরটিআই থেকে এ-ও জানা গেছে, মান্দসৌরে আটটি ব্যালট ইউনিট এবং একটি ডিট্যাচেবল মেমরি মডিউলের সন্ধান পাওয়া যায়নি। বালাঘাট জেলার ওল্ড কালেক্টর ভবনের একটি স্ট্রংরুম থেকে ২৬টি ডিট্যাচেবল মেমরি মডিউল মেলেনি। এছাড়া সাগর জেলায় ১১টি ও গোয়ালিয়র জেলায় ২৮টি ব্যালট ইউনিট উধাও বলে জানা গেছে।