চলছিল রাজনীতির রঙ লাগানোর চেষ্টা, ঘাসফুল শিবিরের ঘাড়ে দায় চাপানোর মতো ঘৃণ্য রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খাটল না গেরুয়া শিবিরের কোনও চালই। সমস্ত চক্রান্তকে ভণ্ডুল করে দিয়ে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গেই হাসনাবাদের বিজেপি কর্মী সরস্বতী দাস খুনের কিনারা করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হল তাঁর ছেলে সুমন দাসকে। পুলিশ জানিয়েছে, জেরার মুখে মাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে সুমন। রবিবার তাকে বসিরহাট আদালতে তোলা হলে, আদালত ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ই জুন রাতে হাসনাবাদের তকিপুরে নিজের বাড়িতে খুন হন বিজেপি-র সক্রিয় কর্মী সরস্বতী। সন্ধ্যায় সরস্বতীর স্বামী শুভঙ্কর গিয়েছিলেন বাজারে। রাত সওয়া নটা নাগাদ সেখান থেকে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে ডাকাডাকি করেন। তখনই তিনি দেখেন, বাড়ির উঠোনের পাশে পড়ে রয়েছে সরস্বতীর রক্তাক্ত দেহ। এরপরই খুনের কিনারা করতে কোমড় বেঁধে নামে পুলিশ। তবে রাজনৈতিক না পারিবারিক কারণে এই খুন তা তদন্ত করতে গিয়ে এক সপ্তাহ কেটে যায়।
পরবারের সদস্যদের দফায়দফায় জেরার পর জানা যায়, পারিবারিক অশান্তি চলছিল বেশ কয়েক মাস ধরেই। এবং সেটা মা ও ছেলের। পুলিশ জানিয়েছে, সেই আক্রোশ থেকেই নিজের মাকে চ্যালা কাঠ দিয়ে মেরে মাথা থেঁতলে হত্যা করে সুমন। প্রথমে জানা গিয়েছিল গুলি করে খুন করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তে দেখা যায়, গুলিতে নয়, ভারি কোনও বস্তুর আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে সরস্বতীর। অন্যদিকে, এতদিন পারিবারিক কলহের শিকার হওয়া সরস্বতীকে রাজনৈতিক বিবাদের বলি বলে চালানোর চেষ্টা করলেও সত্য সামনে আসতেই মুখে কুলুপ এঁটেছে গেরুয়া শিবির।