এবার ‘সিটি অফ জয়’ হয়ে যেতে পারে ‘সিটি অফ লিটারেচার’! হ্যাঁ, এবার মহানগরীর মুকুটে জুড়তে পারে আরেক পালক, ‘সিটি অফ লিটারেচার’-এর সম্মান। যা দেওয়া হয় ইউনেস্কো (ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন)-এর তরফে। এই সম্মান পেলেই কলকাতার সাহিত্য, শিক্ষাব্যবস্থা এবং সংস্কৃতির সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের যোগাযোগ ঘটানো আরও সহজ হয়ে যাবে।
যে পদ্ধতিতে এই তকমা মিলতে পারে, সে ব্যাপারে সাহায্য করতে চেয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। তাতে বলা হয়েছে, কলকাতা শহর ওই সম্মান পাওয়ার যোগ্য। এর জন্য কলকাতা পুরসভাকে আবেদন জানাতে হবে ইউনেস্কোর কাছে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের পক্ষ থেকে একটি আবেদনপত্রও পাঠানো হয়েছে পুরসভায়। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে অনলাইনে সেই আবেদন পত্র পূরণ করে পাঠাতে হবে ইউনেস্কোয়।
চিঠি পেয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মেয়র নিজেও। ফিরহাদ বলেন, ‘কলকাতা সিটি অফ লিটারেচার হলে কলকাতা-সহ সব রাজ্যবাসীই গর্বিত হবেন।’ তিনি এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন পুর প্রশাসনকে। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লীতে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের এক বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতা পুরসভার বিশেষ পুর কমিশনার তাপস চৌধুরীকে পাঠিয়েছেন মেয়র। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
পুরসভা সূত্রের খবর, ব্রিটিশ কাউন্সিল জানিয়েছে, সারা বিশ্বে মাত্র ২৮টি শহর ‘সিটি অফ লিটারেচার’ সম্মান পেয়েছে। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা শহর প্রথম ওই সম্মান পেয়েছিল। এই তালিকায় বাগদাদ এশিয়ায় একমাত্র শহর। তালিকায় যুক্ত হলে কলকাতা হবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম শহর। পুরসভার এক অফিসার জানান, এটি একটি বড় প্রক্রিয়া। কলকাতার ঐতিহ্য, ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে অনলাইনে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরামর্শও নিয়েছে কলকাতা পুর প্রশাসন। প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে, কলকাতা শহরের আয়-ব্যয়, লোকসংখ্যা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, লেখক, শিক্ষাবিদ, প্রকাশনা এবং আরও কয়েকটি বিষয়ের উপরে তথ্য দিতে হবে আবেদনপত্রে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়েছে, তারা এ ব্যাপারে সব রকম সহায়তা করবে। জুলাই মাসে আবেদনপত্রের উপরে ভিত্তি করে পর্যালোচনা হবে। কলকাতার মুকুটে এই পালক উঠবে কি না, তার ঘোষণা হবে আগামী নভেম্বর মাসে।