সোমবার রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত সিচুয়ান প্রদেশে প্রথমবার ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫.৯। পরে মঙ্গলবার সকালে ফের ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সিচুয়ানের রাজধানী চেংডু-সহ বেশ কয়েকটি শহর। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৫.২। এই ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে মৃত ১১৷ জখম অন্তত ১২২৷
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্প দুটির পর অনেকবার আফটার শক অনুভূত হয়। এর ফলে স্থানীয়দের মধ্যে আরও আতঙ্ক ছড়ায়। ভয়ে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন প্রচুর মানুষ। তবে প্রথমবার ভূমিকম্পের সময় বেশিরভাগ মানুষই ঘুমোচ্ছিলেন। ফলে হতাহতের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া টানা প্রায় একমিনিট ধরে ভূ-কম্পনের জেরে প্রচুর বাড়ি ও গাছ ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন রাস্তায় ফাটল ধরার কারণে বন্ধ হয়েছে যান চলাচলও।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের তরফে ৫০ হাজার তাঁবু, ১০ হাজার বিছানা ও অন্য ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল সংলগ্ন এলাকাগুলি থেকেও প্রচুর মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মে মাসে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সিচুয়ান প্রদেশ। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
সিচুয়ানের প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জোড়া ভূমিকম্পের ফলে প্রচুর বাড়ি ও গাছ ভেঙে পড়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ফাটল ধরেছে রাস্তায়। এখনও বেশ কয়েকজন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে রয়েছেন। স্থানীয় সুয়াংঘি টাউনশিপ থেকে চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।