গত ২৩ মে ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। রাজ্যে জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করার পাশাপাশি, ভয় দেখিয়ে এবং নানা প্রলোভন দেখিয়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের দলে টানার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপির নেতা-কর্মীরা। এ কাজে বিজেপির হয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন মুকুল রায়। এবং এই কাজে তাঁর সঙ্গী হয়েছেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তবে ঠিক এখানেই ঘটেছে বিপত্তি। আদতে দলত্যাগীরা ক-জন স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে দলবদল করেছে, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলত্যাগী অনেক কাউন্সিলরের কথায়, তাঁদের দল ছাড়ার অন্যতম কারণই হল, না বুঝে মুকুলের ফাঁদে পা দেওয়া। যে কারণে এখন আফসোস করতে হচ্ছে তাঁদের।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের পর বিজেপিতে গিয়েও অনেকে পা বাড়িয়ে রয়েছে তৃণমূলে। শুধু একবার মমতা ডাকলেই, তাঁরা ছুটে যাবেন তৃণমূলে। বিজেপিতে তাঁরা অপমানিত। এই কদিনেই বিজেপিতে মোহভঙ্গ হয়েছে তাঁদের। এখন পরিস্থিতি এমনই যে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার ডাকলেই তাঁরা ফিরে যেতে পারেন তৃণমূলে। যা হলে বিজেপিও জোর ধাক্কা খাবে। বিজেপিতে সম্মান না পাওয়া অনেক দলত্যাগী কাউন্সিলরেরই অভিযোগ, দলত্যাগী কাউন্সিলরদের সুযোগ সন্ধানী তকমা মিলেছে বিজেপিতে গিয়ে। ফলে, তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তবে পুরনো দলে ফিরতে মুখিয়ে থাকা ওই নেতারা বলছেন, এখন ইচ্ছে থাকলেও তাঁরা ফিরতে পারছেন না। কারণ, তাঁদের এ হেন বোকামিতে ক্ষুব্ধ দলনেত্রী এখনও দলে ফিরিয়ে নেওয়ার বার্তা দেননি।