পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়ার কথাই ছিল না মহম্মদ আমিরের। সাম্প্রতিক ফর্ম-এর বিচারে নির্বাচকরা তাঁকে বিশ্বকাপ দলের বাইরে রাখতে চেয়েছিলেন। এমনকী, বিশ্বকাপের জন্য প্রথম দফায় ঘোষিত স্কোয়াডে মহম্মদ আমির ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত তাঁকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাদ পড়ার জ্বালায় শুরু থেকেই ছটফট করছিলেন আমির। নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ ছিল ভরপুর। আর সেটাই করে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। একাই নিলেন ৫ উইকেট। কেরিয়ারের সেরা বোলিং করলেন অজিদের বিরুদ্ধে। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে এখন টিম কোহলির চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন পাকিস্তানের এই ফাস্ট বোলার।
কোহলি আগেও বলেছেন, বিশ্ব ক্রিকেটে তাঁর দেখা অন্যতম সেরা পেসার মহম্মদ আমির। এর আগে একাধিকবার আমিরের প্রশংসা শোনা গিয়েছে ভারতীয় ক্যাপ্টেনের মুখে। আমিরকে খেলতে বিরাট বারবার সমস্যাতেও পড়েছেন। কিন্তু বিশ্বকাপের লড়াইটা আলাদা। এখানে ভারত-পাকিস্তান, দুই দলই আলাদা উন্মাদনার নিয়ে মাঠে নামে। ফলে দুই দলের ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষা থেকে শুরু করে টেম্পারামেন্ট আলাদা রকম হয়। এবারও তার অন্যথা হবে না বলেই ধরা যায়। তবে লড়াইটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় টপ অর্ডার বনাম আমির। অর্থাৎ, কোহলি, রোহিত শর্মাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ-এর মুখে ফেলতে পারেন আমির। কীভাবে সেই চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে! বিরাট, রোহিতদের জানিয়ে গেলেন সচিন তেন্ডুলকর।
এদিন ভারতের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান বলেন, “রোহিত ও বিরাট আমাদের সব থেকে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের দুই পেসার আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ বিরাট-রোহিতকে তাড়াতাড়ি আউট করতে চাইবে। কিন্তু রোহিত ও বিরাটকে ধৈর্য ধরে খেলতে হবে। আমির ভাল পেসার। গত ম্যাচে শুরুর দিকে ও ঠিকঠাক জায়গায় বোলিং করে অ্যারন ফিঞ্চকে সমস্যায় ফেলছিল।”
ইনিংস ধরে খেলার প্রসঙ্গে লিটল মাস্টার আরও বলেন, “রোহিত-বিরাটকে কখনই বলব না, আমিরের বিরুদ্ধে ডট বল খেলতে! সুযোগ পেলে অবশ্যই শট খেলতে হবে। কারণ এরকম বড় ম্যাচে শরীরী ভাষা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র উইকেটে টিকে থাকার মানসিকতা নিয়ে নামলে মুশকিল। ডিফেন্স ভাল হলে বোলার বুঝতে পারবে, ব্যাটসম্যান নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়নি। তাই ডিফেন্স গুরুত্বপূর্ণ। নিজের সাধারণ খেলাটা খেললেই যথেষ্ট।”
রবিবারের ম্যাচের আগেই ভারতীয় ড্রেসিংরুমে বিরাট-ধোনিদের উদ্দেশ্যে সচিনের এই বার্তা পৌঁছাতেই উত্তেজনায় ফুটছেন খেলোয়াড়রা। সচিনের এই ফর্মুলা বিরাটরা কতটা কাজে লাগাতে পারে, এখন সেটাই দেখার।