গত ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল বেরোনোর পরেই রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন যে, দলের ভরাডুবির দায় নিজের কাঁধে নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে এবার সরতে চান তিনি। তারপরেই কংগ্রেস নেতৃত্ব বৈঠক ডাকে। এবং সেই বৈঠক থেকেই তাঁকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে তাঁকে সভাপতি পদে বহাল রাখার জন্য কংগ্রেসের অন্দরে সকলেই চেষ্টা করছেন। কিন্তু কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুল নাকি এখনও পদত্যাগের বিষয়ে অনড়। তাই দল রাহুলের জায়গায় নতুন অন্তর্বর্তী সভাপতি নিয়োগের চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে। এবং উল্লেখযোগ্যভাবে এই সভাপতি হিসাবে গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকে আনা হতে পারে, এমন সম্ভাবনাই প্রবল।
স্বয়ং রাহুলও পরিবারের বাইরে কাউকে এই পদের জন্য চাইছেন বলে শোনা গিয়েছে। আবার, দলের কোনও বর্ষীয়ান নেতাকে অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসাবে আনা হতে পারে এমন জল্পনাও রয়েছে। আবার একজন নয়, দু’জন অন্তর্বর্তী সভাপতি নিয়োগ করার কথাও ভাসছে। সেক্ষেত্রে একজন উত্তর ভারত ও একজনকে দক্ষিণ ভারত থেকে নিয়োগ করা হতে পারে। উত্তর ভারত থেকে রাজ্যসভার সাংসদ আহমেদ প্যাটেল এবং দক্ষিণ ভারত থেকে এবারের নির্বাচনে পরাজিত, গতবার কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম আলোচনায় রয়েছে। তবে কংগ্রেস সভাপতি পদে থাকার জন্য রাহুলকে বোঝাতে দলের আরেক বর্ষীয়ান নেতা এ কে অ্যান্টনি চেষ্টা করছেন বলেই খবর।
আগামী সপ্তাহ থেকেই নতুন লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সেই সময়েই সংসদীয় দলের বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে। শুধু কংগ্রেস সভাপতিই নয়, রাহুল যাতে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতার পদ গ্রহণ করেন, সেই ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন দলের নেতারা। কিন্তু রাহুল রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ইউপিএ চেয়ারপার্সন ৭৩ বছর বয়সি সোনিয়া গান্ধীকেই লোকসভার দলনেত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। তেমনি রাহুল সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি তাঁর জায়গায় প্রিয়াঙ্কা আসতে চলেছেন? কিন্তু অন্তর্বর্তী সভাপতির ক্ষেত্রে রাহুল গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকেই চাইছে। যা গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।