লোকসভা নির্বাচন শুরু হতেই এ রাজ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে নেতা-কর্মীদের নিজেদের দলে টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল গেরুয়া শিবির। নির্বাচন শেষ হলেও সেই প্রক্রিয়া এখনও চলছে। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে, ততই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে দলের নতুন সদস্যদের ঘিরে তৈরি হচ্ছে তীব্র অসন্তোষ। অবস্থা এমনই যে এখন আর কোনও মতেই চেপে রাখা যাচ্ছে না দলের গোষ্ঠীকোন্দল। এবার যেমন ফের বিক্ষোভের আঁচে তেতে উঠল বিজেপির অন্দর। ভিন দলের পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রধানদের ভাঙিয়ে বিজেপিতে সামিল করানোর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দলের পুরনো কর্মীরা। দলের সাংসদ ও সভাপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে জেলা কার্যালয়ে জমায়েতও করছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, সোমবার বিজেপির সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের হাত ধরে কোচবিহারের দলীয় কার্যালয়ে মাতালহাট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান স্বপ্না রায়-সহ পাঁচ পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিতে যোগদান করেন। এবং তারপরেই ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। আজ সকালেও বিজেপি নেতা নৃপেন সরকার এবং দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের মন্ডল সভাপতির নেতৃত্বে লক্ষ্মীবাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন বিজেপি কর্মীরা। নবনির্বাচিত সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও কোচবিহার জেলা সভাপতি মালতি লাভার বিরুদ্ধে দলের কর্মী-সমর্থকদের স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে কোচবিহার দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখানোর উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা।
শুধু মাতালহাটই নয়, এই মুহূর্তে জেলার নানা প্রান্তে ছড়াচ্ছে এই অশান্তি আঁচ। দল ভারী করতে বিভিন্ন দলের ‘আগাছা’ ও ঘাড় ধাক্কা খাওয়া দাগি নেতাদের বিজেপিতে ঢোকান হচ্ছে বলে কর্মীদের অভিযোগ। প্রসঙ্গত, নিশীথ প্রামাণিক বিজেপিতে আসার পরে তাঁকে যখন কোচবিহারের প্রার্থী করা হয়েছিল তখনও দলের নিচুতলায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। এমনকী কোচবিহারে এবিএন শীল কলেজের সামনে একটি ফেস্টুনও দেখা গিয়েছিল, যেখানে লেখা ছিল, ‘দিনহাটার স্মাগলার নিশীথ প্রামাণিক বিজেপির প্রার্থী হলে একটিও ভোট নয়’। নোটা-য় ভোট দেওয়ার জন্যও আবেদন জানানো হয়েছিল। ভোট মিটতে আবারও তেমনই এক পরিস্থিতির সম্মুখীন গেরুয়া শিবির।