জামাইষষ্ঠীতে চেনা মিষ্টির ছক বদলে বাজারে এসেছে জয়হিন্দ মিষ্টি, জয় বাংলা মিষ্টি। রসগোল্লা-কাঁচাগোল্লা-সন্দেশ-চমচম। এই চেনা মিষ্টিদের পিছনে ফেলে কয়েক কদম এগিয়ে গেল জয় হিন্দ, জয় বাংলা মিষ্টি। আজ জামাইষষ্ঠী। গতকাল রাতেই প্রথম শোকেস সাজানো হয়েছিল নীল-সাদা, সবুজ-হলুদ মিষ্টি। তাতে লেখা জয় হিন্দ, কিংবা জয় বাংলা। ব্যাস তাতেই কেল্লাফতে। শুক্রবার রাতের পর আজ সারা দিনই দেদার বিক্রি হচ্ছে তৃণমূলের এই জয় হিন্দ, জয় বাংলা সন্দেশ।
জয়হিন্দ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে তোলপাড় রাজ্য। মিষ্টি বিক্রি করতে করতেই এ নামগুলি যেন লুফে নিলেন পানিহাটির মিষ্টি বিক্রেতা কমল দাস। সামনেই জামাইষষ্ঠীর মরসুম। কী ভাবে এ নামের মায়াকে কাজে লাগানো যায়, শুরু হল চিন্তাভাবনা। যেমন ভাবা কাজও তেমনই। করে ফেললেন মিষ্টির ডিজাইন। তিনি বলেন, “যে কোনও উৎসবের মরশুমেই নতুন কিছু করার ভাবনা থাকে। এ বার লোকের মুখেই হোক, আর সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু জয় শ্রীরাম আর জয়হিন্দ এই দুই শব্দের রেষারেষি। তখনই মনে হল জামাইষষ্ঠীকে সামনে রেখে এমন নামে মিষ্টি বানালে কেমন হয়? নতুনত্বও হবে। আবার সমস্ত রেষারেষি এসে শেষ হবে মিষ্টিমুখে।
একেকটা সন্দেশের দাম একশো থেকে দুশো টাকা। আজ সকাল থেকে কমলবাবুর দোকানে সব মিষ্টির বিক্রিকে হার মানিয়েছে এই সন্দেশ। ক্রেতারা অবশ্য সন্দেশ বাছাইয়ে নাম মাহাত্ম্যকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। জামাইষষ্ঠী করতে আসছে বোনের বর। তাই মিষ্টি কিনতে দোকানে এসেছিলেন এলাকারই বাসিন্দা সঞ্জীব মুখার্জি। বললেন, “বাড়ির জামাইয়ের জন্য জয়হিন্দ সন্দেশই কিনে ফেললাম। কারণ ওটাই ওঁর পছন্দ।”