দিনে দিনে কলকাতার পরিবর্তন হচ্ছে জনজীবন। বাড়ছে জনসংখ্যা, কমছে গাছ। তাতেই দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। কলকাতার এই অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন করতে উদ্যোগী হল কলকাতা পুরসভা ও কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ।দূষণ-আক্রান্ত শহরের তালিকায় গোটা বিশ্বে প্রথম সারিতে কলকাতা। সবুজ কমছে রোজ, বাড়ছে ধোঁয়া, ধুলো, কংক্রিটের পাহাড়।
দূষণের হাত থেকে বাঁচতে খোদ কলকাতার বুকেই অরণ্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভাও। একটি নয়, দু’টি কৃত্রিম অরণ্য তৈরি করা হবে খিদিরপুরের ধোবি তালাও এলাকায় আর তারাতলার শ্রমিক বস্তির কাছে। শুধু অরণ্য তৈরিই নয়, জলাশয় বাঁচানোর কর্মসূচিও আছে এই তালিকায়। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে গঙ্গার ধারে বছরভর বৃক্ষরোপণের কর্মসূচিও।
‘পিপল ইউনাইটেড ফর বেটার লিভিং ইন ক্যালকাটা’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় খিদিরপুরের ধোবি তালাও এলাকায় ১৭০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে কৃত্রিম অরণ্য তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর দপ্তর। পাশেই রয়েছে একটি ঝিল। দ্রুতই এই অঞ্চল পাখিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে বলে আশা পরিবেশবিদদের।
তারাতলায় ২০০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে আরো একটি বন গড়ে তুলবে বনদপ্তর। সামনেই নেচার পার্কের ১০টি জলাশয়কে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির হাতে। দুটি অরণ্য পেয়ে কতখানি দূষণমুক্ত হয় কলকাতার ফুসফুস, সেটাই এখন দেখার। কলকাতাকে আবার সবুজময় করে তোলার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন পরিবেশবিদেরা।